তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগল বলে! ইরানের হুমকিতে ভয় আমেরিকারও, তবুও গাজায় হামলা ইজরায়েলের

Israel-Iran Conflict: গত বছরের অক্টোবর মাসে ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আকার নিচ্ছে। দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে বিশ্ব। ইজরায়েলের পাশে যেমন আমেরিকা দাঁড়িয়েছে, তেমনই প্যালেস্তাইন পাশে পেয়েছে ইরানের মতো শক্তিধর মুসলিম দেশকে।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগল বলে! ইরানের হুমকিতে ভয় আমেরিকারও, তবুও গাজায় হামলা ইজরায়েলের
গাজায় হামলার পর অবস্থা।Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Updated on: Apr 13, 2024 | 6:12 AM

গাজা: ফের যুদ্ধ লাগল বলে। জটিল রূপ নিয়েছে ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ। হামাসকে শেষ করতে ইজরায়েল যেভাবে গাজা ও  প্যালেস্তাইনের উপরে হামলা চালিয়েছে, তার রেশ পড়শি ইরানের উপরেও পড়েছে। সম্প্রতিই সিরিয়ায় ইরানের দামাস্কাসের দূতাবাসে হামলার পরই চরম বার্তা দিয়েছে ইরান। যেকোনও সময়েই তারা ইজরায়েলের উপরে হামলা চালাতে পারে। এই “যুদ্ধ লাগবে” পরিস্থিতির মাঝেই আবার গাজায় হামলা ইজরায়েলের। শুক্রবার রাতে ফের গাজা স্ট্রিপে লাগাতার গোলাবর্ষণ করল ইজরায়েল। নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

গত বছরের অক্টোবর মাসে ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আকার নিচ্ছে। দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে বিশ্ব। ইজরায়েলের পাশে যেমন আমেরিকা দাঁড়িয়েছে, তেমনই প্যালেস্তাইন পাশে পেয়েছে ইরানের মতো শক্তিধর মুসলিম দেশকে। ইরান ইজরায়েলে হামলা করলে, তা ভয়ানক হতে চলেছে, এই নিয়ে ভীত-সন্তস্ত্র আমেরিকাও।

মার্কিন সেনা কর্তারা জানিয়েছেন, যে কোনও মুহূর্তেই ইজরায়েলের উপরে হামলা করতে পারে ইরান। ১০০টিরও বেশি ড্রোন দিয়ে হামলা করতে পারে। ক্ষেপনাস্ত্র হামলাও করতে পারে। মূলত ইজরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলিতেই হামলা করতে পারে ইরান।

ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রাক্তন কর্মকর্তা সিমা শাইন বলেছেন যে ইরান ২০১৯ সালের মতো ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালাতে পারে। তারা সেনাবাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করতে চায়। এতে অনেক ক্ষতি হবে।

অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন।তিনি হামাস ও ইরানের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “যে যে আমাদের ক্ষতি করবে, তাদের আমরাও ক্ষতি করব। আমরা রক্ষণাত্মক এবং আক্রমণাত্মক উভয়ভাবেই প্রস্তুত”।

ইরান ইতিমধ্যেই দুটি জাহাজ পারস্য উপসাগর এবং লোহিত সাগরে অবতরণ করেছে। এই জাহাজগুলির ক্রুজ মিসাইল এবং ইউএভি নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েলের উপকূলীয় এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, আমেরিকার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিকেও সতর্ক করেছে ইরান। যুদ্ধে ইরানের বিরুদ্ধে যারা যাবে, তাদের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।