Oldest Newspaper: বন্ধের পথে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্র, চালু হবে অনলাইন প্রকাশনা

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই সংবাদপত্রটি সর্বাধিক বিক্রির দিক থেকে ২০০৪ সালেও শীর্ষে ছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে এটির বাজার নামতে থাকে।

Oldest Newspaper: বন্ধের পথে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্র, চালু হবে অনলাইন প্রকাশনা
প্রাচীনতম সংবাদপত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2023 | 9:52 PM

ভিয়েনা: বিশ্বের প্রাচীন সংবাদপত্রগুলির (Oldest Newspaper) মধ্যে একটি হল, ‘উইনার জিইটাং’। অস্ট্রিয়ার এই সংবাদপত্রটির ছাপা বন্ধ হতে চলেছে। বৃহস্পতিবারই সে দেশের সংসদে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে উইনার জিইটাং-এর ছাপা বন্ধ হলেও অনলাইন প্রকাশনা শুরু হবে। অর্থাৎ এবার অনলাইনে (Online) দেখা যাবে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্রটি (Wiener Zeitung)।

অনলাইন পোর্টাল চালু হওয়ার পর থেকেই দৈনিক সংবাদপত্রগুলির বাজার পড়তে শুরু করে। যার ফলে গত কয়েক বছর ধরেই বহু সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বলা ভাল, বহু সংবাদপত্রের প্রিন্ট বন্ধ হয়ে অনলাইনে রূপান্তরিত হয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটছে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্র, অস্ট্রিয়ার উইনার জিইটাং। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভিয়েনার কয়েকশো বাসিন্দা।

সংবাদপত্রের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৭০৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় ‘উইনার জিইটাং’। তখন এটির নাম ছিল, ‘উইলারিসচেস দিয়ারিয়াম’। পরে ১৭৮০ সালে এটির নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘উইনার জিইটাং’ হয়। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই সংবাদপত্রটি সর্বাধিক বিক্রির দিক থেকে ২০০৪ সালেও শীর্ষে ছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে এটির বাজার নামতে থাকে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত উইনার জিইটাং-এর ছাপা বন্ধ হচ্ছে।

অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট নোরবার্ট হোফার জানান, আগামী ১ জুলাই থেকে উইনার জিইটাং-এর অনলাইন প্রকাশনা শুরু হবে। এই সংবাদপত্রের ভাইস ম্যানেজিং এডিটর মাথিয়াস জিগলার জানান, কেউ কেউ ভয় পান যে, সরকার কেবল উইনার জিইটাং ব্র্যান্ডটি তার ৩২০ বছরের পুরানো ইতিহাসের সঙ্গে রাখতে চায়। যদিও কেউ জানে না এটির ভবিষ্যত প্রকাশনা কেমন হবে, সেটি সিরিয়াস সাংবাদিকতা হবে কিনা।

এভাবে অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্রের ছাপা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় খুশি নন বলে জানিয়েছেন ইইউ (EU) কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বীরা জৌরোভা। তাঁর কথায়, “বছরের পর বছর ধরে জনগণকে তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে উইনার জিইটাং খুব ভাল ভূমিকা পালন করেছে।”