Budget 2024: জন-বিস্ফোরণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা, বাজেটে ঘোষণা মোদী সরকারের

Budget 2024: দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে ভারতের জনসংখ্যা। এই জন বিস্ফোরণের কারণে, দেশের সামনে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। এবার এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার লক্ষ্যে এক শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে চলেছে মোদী সরকার।

Budget 2024: জন-বিস্ফোরণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা, বাজেটে ঘোষণা মোদী সরকারের
জনসংখ্যায় ভারতের চিনকে ছাপিয়ে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Feb 01, 2024 | 6:24 PM

নয়া দিল্লি: দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ভারতের জনসংখ্যা। জনসংখ্যার এই অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে দেশের সামনে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। এবার এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করার লক্ষ্যে এক শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে চলেছে মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি), অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করার সময়, এই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট বক্তৃতার সময় তিনি ‘অমৃত কাল’-এর রূপরেখা প্রকাশ করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য, এই কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্য পূারণের পাশাপাশি, কীভাবে সামগ্রিক দিক থেকে এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করা যায়, সেই বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ করা দায়িত্ব থাকবে এই কমিটির।

বিশ্বের আনুমানিক জনসংখ্যা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এখনও বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ হল চিন। তবে, শিগগিরই এই বিষয়ে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। বস্তুত, ২০২৩-এর এপ্রিলেই ভারতের জনসংখ্যা ১৪২,৫৭,৭৫,৮৫০ জনে পৌঁছে গিয়েছে বলে অনুমান করা হয়। যা, চিনের জনসংখ্যার সমান। এরপর, চিনের জনসংখ্যাকে ভারত ছাড়িয়ে যাবে বলে নিশ্চিত তথ্য বিশ্লেষকরা। আগামী কয়েক দশক ধরে ভারতের জনসংখ্যা বাড়বে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, চিনের জনসংখ্যা তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে ইতিমধ্য়েই পৌঁছে গিয়েছে। ২০২২ সালের পর থেকে চিনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, চিনা জনসংখ্যা ক্রমে আরও কমবে এবং চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই ১০০ কোটির নীচে নেমে যাবে।

তবে, মোদী সরকারের এই ঘোষণার পিছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। রাজ্যসভার সিপিআইএম সাংসদ, জন ব্রিতাস বলেছেন, “মুসলমানদের আঘাত করাই আরএসএস-বিজেপির লক্ষ্য। তাই, তাদের দেওয়া যে কোনও প্রস্তাব, সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা মুসলিম সম্প্রদায়কে কলঙ্কিত করার চেষ্টা। শিক্ষা প্রদানের মতো মৌলিক সমস্যার সমাধান করতে পারলেই, প্রকৃতপক্ষে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তার পরিবর্তে, এই সরকার অন্য জায়গায় সমাধান খুঁজছে।”