Dhanteras Business: ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি, ধনতেরাসে বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার কোটির গয়না

Dhanteras Business: করোনার কাঁটা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। গত দু'দিনে ধনতেরাস উপলক্ষে সোনা ও রুপোর বিক্রি হয়েছে মোট ২৫ কোটি টাকার।

Dhanteras Business: ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি, ধনতেরাসে বিক্রি হয়েছে  ২৫ হাজার কোটির গয়না
ছবি সৌজন্যে: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2022 | 7:31 PM

গতকাল গিয়েছে ধনতেরাস। ধনতেরাস অর্থাৎ, ধন-সম্পত্তির দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা। এই তিথিতে বহু ভারতীয় ঘরে সোনা-রুপো বা যেকোনও ধাতু ঘরে নিয়ে আসেন। মনে করা হয়, ধনতেরাসে কোনও ধাতু কিনতে তা বাড়িতে সমৃদ্ধি, সম্পত্তি নিয়ে আসে। এ বছরও সেই রীতিনীতি থেকে মুখ ফেরাননি ভারতীয়রা। ধনতেরাসে সোনার দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। ধনতেরাসে যে রেকর্ড সোনা বিক্রি হয়েছে তা পরিসংখ্যানে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই বোঝা যাবে।

জানা গিয়েছে, ধনতেরাসে মোট ২৫ হাজার কোটি টাকার সোনার ব্যবসা হয়েছে গত দু’দিনে। যেখানে সারা দেশে মোট ৪৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে এই ধনতেরাস উপলক্ষে। এ বছর গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর দেশে ধনতেরাস উদযাপন করা হয়েছে। আর সেই উপলক্ষে দেশজুড়ে ভারতীয়রা বিভিন্ন কেনাকাটা করেছেন। বাকি ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে অটোমোবাইল, কম্পিউটার, কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, ঘর ও অফিস সাজানোর জিনিসপত্র, ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইলের জিনিসপত্র এবং মিষ্টি ও স্ন্য়াকসের ইন্ডাস্ট্রিতে।

কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-র জাতীয় সভাপতি জানিয়েছেন, “দু’দিনের ধনতেরাস উৎসব উপলক্ষে সোনা ও রুপোর কয়েন, নোট, ভাস্কর্য এবং বাসনপত্রের পাশাপাশি প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকার সোনা এবং রুপোর কয়েনের বিক্রি হয়েছে।” CAIT-এর সেক্রেটারি জেনারেল, প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেছেন,গতকাল ও আজ ধনতেরাস উপলক্ষে সারা দেশের বাজারে মানুষের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। বিশেষত অফলাইন বাজারে ভিড় দেখা গিয়েছে। দু’বছর করোনার কারণে এই মাত্রায় কেনকাটা দেখা যায়নি। স্বভাবতই এবার এই কেনাকাটার পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বিক্রেতাদের মুখে হাসি। এর ফলে তাঁদের অবস্থাও কিছুটা উন্নতি হবে বলেই আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা।

CAIT-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর দীপাবলি উপলক্ষে কেনাকাটা ১,৫০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা পেরিয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় দ্রব্য কেনার প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। ফলে করোনার কারণে গত দু’বছরে ব্যবসার যে ক্ষতি হয়েছিল তা পুনরুদ্ধারের সুযোগ পেলেন ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় পণ্য কেনার দিকে ঝোঁকের ফলে চিনের ব্যবসায় ৭৫,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।