Pulse Price Hike: এক বছরে ৫৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি! পাতে ডাল পরবে কি না, চিন্তা গৃহস্থের হেঁশেলে
Pulse Price Hike: বিভিন্ন তৈলশস্য, যা দিয়ে তেল উৎপাদন করা হয়, তার দামও বাড়ছে। একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে চিনির দামও। ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি, যা বিগত ৬ বছরে সর্বোচ্চ মূল্য। ইতিমধ্যেই বিদেশে চিনির রফতানিতে রাশ টানা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: উৎসবের মরশুমে পকেটে চাপ। দাম বাড়তে চলেছে একাধিক খাদ্যশস্যের। মূলত গ্রীষ্মকালে যে খাদ্যশস্যগুলির ফলন হয়, সেগুলির দাম হু হু করে বাড়তে চলেছে। বাজারে জোগান কম থাকার কারণেই ডাল সহ একাধিক শস্যের দাম বাড়ছে। মূল্য়বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রফতানিতে আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিক ডাল ও খাদ্যশস্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। মটর ডাল, অরহর ডাল, জোয়ার, ভুট্টার দাম বেড়েছে। বিভিন্ন তৈলশস্য, যা দিয়ে তেল উৎপাদন করা হয়, তার দামও বাড়ছে। একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে চিনির দামও। ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিনি, যা বিগত ৬ বছরে সর্বোচ্চ মূল্য। ইতিমধ্যেই বিদেশে চিনির রফতানিতে রাশ টানা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ৫৮ টাকা কেজি দরে পৌঁছেছে।
এবারের বর্ষার মরশুমে স্বাভাবিকের তুলনায় ৫.৬ শতাংশ বৃষ্টিপাত কম হওয়ায়, একাধিক শস্য উৎপাদনও কম হয়েছে। খুচরো বাজারে জোগান কমে যাওয়ায়, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে খাদ্যশস্যের দাম। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ডালের দাম-
তুর বা মটর ডালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকা প্রতি কেজি-তে। গত বছর মটর ডালের দাম ছিল কেজি প্রতি ১১৩ টাকা। অর্থাৎ বিগত এক বছরে ৫৮ শতাংশ দাম বেড়েছে। অন্যান্য় ডালের দামও কেজি প্রতি ১৬০ টাকার কাছাকাছি, যা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। ডালের সবথেকে দাম বেশি অন্ধ্র প্রদেশে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে দিল্লি। ক্রমাগত এই মূল্য়বৃদ্ধির জেরে মধ্য়বিত্ত ও নিম্নবিত্ত গৃহস্থ পরিবারের পকেটে আরও চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের মে মাসেই কেন্দ্র গমের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। চলতি বছরের জুলাই মাসে বাসমতি ছাড়া অন্য়ান্য় সমস্ত চালের রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অগস্ট মাসে পিঁয়াজের রফতানির উপরে ৪০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়।