Budget Session: বাজেট অধিবেশনের আগের দিনই সর্বদল বৈঠক, যোগ দেবে না তৃণমূল

Budget Session All-party meet: ২২ জুলাই শুরু হবে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ঠিক তার আগেরদিন, রবিবার (২১ জুলাই) হবে সর্বদলীয় বৈঠক। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে, ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি এই বৈঠকে তাদের দাবির তালিকা রাখবে বলে, আশা করা হচ্ছে। তবে, এই সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস।

Budget Session: বাজেট অধিবেশনের আগের দিনই সর্বদল বৈঠক, যোগ দেবে না তৃণমূল
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jul 16, 2024 | 6:35 PM

নয়া দিল্লি: আসছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। তার আগে প্রতিবারের মতোই হবে সর্বদলীয় বৈঠক। ২২ জুলাই শুরু হবে এই অধিবেশন। ঠিক তার আগেরদিন, রবিবার (২১ জুলাই) হবে সর্বদলীয় বৈঠক। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে, ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি এই বৈঠকে তাদের দাবির তালিকা রাখবে বলে, আশা করা হচ্ছে। তবে, এই সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ জুলাই, কলকাতায় ‘শহিদ দিবস’ পালনে ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতারা। তাই এই বৈঠকে তাঁরা যোগ দিতে পারবেন না। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, কিরেন রিজিজুকে একটি চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

চিঠিতে তিনি বলেছেন, তিনি এবং তৃণমূলের সমস্ত সাংসদরা শহিদ স্মরণ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে থাকবেন। তাই কোনও সাংসদীয় বৈঠকে তাঁরা যোগ দিতে পারবেন না। তিনি আরও জানান, গত ৩০ বছর ধরেই বাংলায় ২১ জুলাই তারিখটি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৩ সালে, সিপিআইএম-এর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীকে সম্মান জানাতে এই দিবস পালন করা হয়। সেই সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে ছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করার পরও, প্রতি বছর তিনি এই দিনে একটি বড় সমাবেশ করেন।

তবে, বৈঠকে বিরোধীরা কী কী দাবি রাখে, সেই দিকে চোখ থাকবে সকলের। কারণ, এই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে যোগ দেবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেও এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। শোনা যাচ্ছে, বাজেট প্রস্তাবের উপর আলোচনার পাশপাশি, নিট-ইউজি এবং অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, জম্মু ও কাশ্মীরে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদী হামলা, মণিপুরে চলতে থাকা হিংসা, চরম মূল্যবৃদ্ধি, সীমাহীন বেকারত্বর মতো বিষয়গুলি নিয়ে স্বতন্ত্র আলোচনা চাইতে পারে বিরোধীরা। ইন্ডিয়া জোট চাইছে, বাজেট উপস্থাপন ও আলোচনার পর, এই অধিবেশন যেন শুধুমাত্র বিল পাশ করানোর মতো সরকারি কাজে আটকে না থাকে। এই জ্বলন্ত বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ক হোক।

সরকার এই প্রস্তাব না মানলে, ফের লোকসভা ও রাজ্যসভার অন্দরে সরকার পক্ষ ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিদন্ডা দেখা যেতে পারে। ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশনে, লোকসভা এবং রাজ্যসভা – দুই কক্ষেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর জবাবি ভাষণ দিচ্ছিলেন, বিরোধীদের তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে। প্রথম অধিবেশনেই বিরোধীরা নিট পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিল। কিন্তু, রাজি হয়নি সরকার। বিরোধীরা মণিপুরের সমস্যা নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল। লোকসভায় না বললেও, রাজ্যসভায় এই বিষয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, কক্ষ ত্যাগ করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা।