দলে দলে Amazon ‘প্রাইম মেম্বারশিপ’ ছাড়ছেন গ্রাহকরা, কী এমন ঘটল?

বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে একজন আমাজন (Amazon) কর্তা জেফ বেজোস (Jeff Bezos)। কিছুদিন আগেই একটি পরীক্ষামূলক উড়ানে মহাকাশ থেকে ঘুর এসেছেন তিনি। আর তাঁর এই ট্যুরের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংস্থার কর্মীদের।

দলে দলে Amazon 'প্রাইম মেম্বারশিপ' ছাড়ছেন গ্রাহকরা, কী এমন ঘটল?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 7:19 PM

লন্ডন: বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি তথা আমাজন কর্তা জেফ বেজোস সদ্য মহাকাশ থেকে ঘুরে এসে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংস্থার কর্মীদের। তাঁর এই ট্যুরের জন্য যে খরচ হয়েছে, তার জন্য কর্মীদের ও গ্রাহকদের অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। যে বার্তা বেজোস দিয়েছেন, তার বাংলা করলে এরকম হয় যে, ‘আমার মহাকাশ ভ্রমণের খরচ তুলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ আর বেজোসের এই বার্তা মোটেই ভালো চোখে দেখেননি গ্রাহকেরা। কর্মীদের খাটনির টাকায় মালিক মহাকাশ ভ্রমণ করছেন! এই বিতর্কই উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। ধনী বনাম গরিব বিতর্ক উস্কে দিয়েছে আমাজন কর্তার এই বার্তা। এরপরই শুরু হয়েছে প্রাইম মেম্বারশিপ ছাড়ার প্রবণতা।

একটি পরীক্ষামূলক উড়ানে সম্প্রতি মহাকাশে ঘুরে এসেছেন তিনি। আর ফিরে টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রত্যেক আমাজনের কর্মী ও আমাজনের গ্রাহককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ আপনারাই এই ভ্রমণের খরচ দিয়েছেন। আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।’ আর এই মেসেজেই কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকের। বিশেষত মার্কিন মুলুকে এই বার্তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তাঁরা এই বার্তা মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, গ্রাহকদের টাকা আর কর্মীদের পরিশ্রমের টাকায় মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন, আর সে কথা বড়াই করে বলছেন।

আমাজন কর্তার এই টু্‌ইটের পর আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, কতটা অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আমাজনের কর্মীদের। পাবলিক টয়লেট খোঁজার সময় নেই বলে আমাজনের কর্মীরা বোতলে প্রস্রাব করছেন, এমন ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে আমাজন কর্মীদের সঙ্গে কার্যত অমানবিক আচরণ করা হয়। কর্মীরা কঠিন পরিশ্রম করে ঠিক সময়ে জিনিস পৌঁছে দেন গ্রাহকের কাছে।

এমন সব রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর এক গ্রাহক ফেসবুক গ্রুপে লিখেছেন, ‘আমি আমার প্রাইম মেম্বারশিপ বাতিল করলাম। আমি একজন জিলিয়নেরারের রকেট চড়ার জন্য চড়া দামে ওয়েবসাইট থেকে জিনিস কিনছিলাম।’ আর এক গ্রাহক লিখেছেন, ‘একজন মানুষের বিত্ত এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছে যে তিনি বাস্তবের সঙ্গে সব সম্পর্ক হারিয়েছেন।’

মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন সত্যি করার জন্য নিজের কোম্পানি গড়েছিলেন আমাজন কর্তা। সেই কোম্পানিই বানায় রকেট। নিজের সংস্থার রকেটে চেপেই বানানো রকেটেই তিনি ঘুরে এসেছেন মহাকাশ থেকে। ফিরে এসে বেজোস অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। মিনিট দশেকের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয় বেজোস ও তাঁর দু্ই সঙ্গীর। ৭৬ কিলোমিটার গিয়ে তাঁদের ক্যাপসুলটি রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়। পরে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ২ মাইল দূরে রকেটটি নিরাপদে অবতরণ করে। ক্যাপসুলটি বেজোস ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে ১০৬ কিলোমিটার বা ৩ লাখ ৫০ হাজার ফুট ওপরে উড়ে যায়। এরপর ১০ মিনিটের মহাকাশযাত্রা শেষে আরোহীদের নিয়ে নিরাপদে ফিরে আসে মাটিতে। তাঁর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাঁর ছোট ভাই মার্ক বেজোস। আরও পড়ুন: ‘আমি যুদ্ধ হতে দেব না, আফগানদের মরতে দেব না’, দেশবাসীকে বার্তা প্রেসিডেন্ট ঘানির