Medicine Price Hike: মাসিক খরচ বাড়ল বলে! দাম বাড়তে পারে ক্যানসার, ডায়াবেটিস-সহ একাধিক রোগের ওষুধের
Medicine Price Hike: রাসায়নিক ও সার মন্ত্রক তরফে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সরকারি তালিকায় থাকা জীবনদায়ি ও প্রয়োজনীয় ওষুধে প্রায় ৩ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে রোগীরা।

নয়াদিল্লি: চলতি বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ক্যানসার-সহ বেশ কিছু দুরারোগ্য ব্যাধীর জন্য ব্যবহৃত ৩৬টি জীবনদায়ি ওষুধে করছাড়ের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। টানা ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের এই বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর মুখে ওষুধে করছাড়ের পাশাপাশি শোনা যায়, আরও পাঁচ-ছয়টি জীবনদায়ি ওষুধে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর কথা।
সেই ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে এক মাসের অধিক সময়। তার মাঝেই বড় তথ্য প্রকাশ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দাম বাড়তে চলেছে সরকার নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু জীবনদায়ি ওষুধের। বলা বাহুল্য, এই ওষুধগুলির দর কিন্তু নির্ধারিত হয় সরকারের হাতেই। এবার তাদের দরেই দেখা যাবে বৃদ্ধি। এই তালিকায় নাম রয়েছে, ক্যানসার, ডায়াবেটিক, হৃদরোগের মতো ব্যাধীতে ব্যবহৃত ওষুধেরও।
কত টাকা দাম বাড়তে পারে এই ওষুধগুলির? প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১.৭ শতাংশ দাম বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই প্রত্যাশিত মূলবৃদ্ধি সম্পর্কে অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অব কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট (All India Organisation of Chemists and Druggists) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজীব সিঙ্ঘল জানাচ্ছেন, যদি সত্যিই কিছুটা দাম বাড়ে, তাহলে ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থাগুলিও একটু রেহাই পাবে। বিগত কয়েক বছরে যে ভাবে ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়ে চলেছে, সেই নিরিখে টিকে থাকাও দায় হয়েছে।
তাঁর আরও দাবি, ‘এখনও যদি দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। তবে সাধারণের পকেটে সেই দামের প্রভাব পৌঁছবে তিন মাস পর। কারণ, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে প্রায় ৯০ দিনের জীবনদায়ি ওষুধ মজুত রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সংসদের রাসায়নিক ও সার সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বিভিন্ন ফার্মা কোম্পানি সরকার নির্ধারিত দামের সীমা লঙ্ঘন করে ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি আবার রাসায়নিক ও সার মন্ত্রক তরফে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সরকারি তালিকায় থাকা জীবনদায়ি ও প্রয়োজনীয় ওষুধে প্রায় ৩ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে রোগীরা।





