Edible Oil Price: সস্তা হল খাবার তেলের দাম
Edible Oil Price: খাদ্য তেলের দামে লাগাম টানার জন্য সরকার এই বছর বেশ কয়েকবার রিফাইন্ড আর অপরিশোধিত দুই খাদ্য তেলের উপর আমদানি শুল্ক কম করেছিল। শেষবার আমদানি শুল্ক কম করা হয়েছিল ২০ ডিসেম্বর। সেই সময় সরকার মার্চ ২০২২ পর্যন্ত রিফাইন্ড পাম তেলের উপর সীমা শুল্ক ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করে দিয়েছিল।
নয়া দিল্লি: ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই সাধারণ মানুষের জন্য খাদ্য তেল নিয়ে একটি খুশির খবর এসেছে। সস্তা হয়েছে খাওয়ার তেলের দাম(edible oil rates)। আসলে বেশকিছু খাওয়ার তেলের কোম্পানি তেলের সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য অর্থাৎ এমআরপি কম করে দিয়েছে। শিল্প সংগঠন সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (SEA) সোমবার জানিয়েছে, আদানি ভিল্মর আর রুচি সোয়া সহ প্রধান খাদ্য তেল কোম্পানিগুলি গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে নিজেদের বেশিরভাগ পণ্যের এমআরপি ১০-১৫ শতাংশ কম করেছে।
জানুন কোন ব্র্যান্ডগুলির তেল সস্তা হল
এসআইএ বলেছে, আদানি ভিল্মর দ্বারা ফর্চুন ব্র্যান্ডের তেল, রুচি সোয়া দ্বারা মহাকোশ, সানরিচ, রুচি গোল্ড আর নিউট্রেলা ব্র্যান্ডের তেল, ইমামি দ্বারা হেলদি অ্যান্ড টেস্টি ব্র্যান্ডের, বঞ্জ দ্বারা ডালডা, গগন, চম্বল ব্র্যান্ডের তেল আর জেমিনি দ্বারা ফ্রিডম সূর্যমুখী তেলের ব্র্যান্ডের দাম কম করা হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, কাফকো দ্বারা নিউট্রিলাইভ ব্র্যান্ডে, ফ্রিগোরিফিকো এলানা দ্বারা সানি ব্র্যান্ডে, গোকূল অ্যাগ্রো দ্বারা ভিটলাইফস মহেক অ্যান্ড জায়কা ব্র্যান্ডে এবং অন্যান্য কোম্পানি দ্বারাও খাদ্য তেলের দাম কমানো হয়েছে।
সর্ষের তেলও হতে পারে সস্তা
গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব শুধাংশু পাণ্ডে কিছুদিন আগে তেল শিল্পের প্রধান কোম্পানিগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন আর তাদের অনুরোধ করেছিলেন যে তারা আমদানি শুল্ক কম করার পর খাদ্য তেল নিয়ে পজিটিভ ভাবনা চিন্তা করুক। শিল্প সংগঠন জানিয়েছে, তাদের আশা আগামী মাসগুলিতে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম হওয়ার সঙ্গেই ঘরোয়া সর্ষের বেশি উৎপাদন হওয়ার আশা রয়েছে, যার ফলে নতুন বছরে গ্রাহকদের জন্য খুশির খবর আসতে পারে।
সরকার নিয়েছে এই পদক্ষেপ
এসআইএ বলেছে, গত কিছু মাসে উচ্চ আন্তর্জাতিক দামের কারণে খাদ্য তেলের দাম অনেক বেশি বেড়েছে যার ফলে গ্রাহকদের পাশাপাশি নির্মাতারাও সমস্যায় পড়েছিলেন। খাদ্য তেলের দামে লাগাম টানার জন্য সরকার এই বছর বেশ কয়েকবার রিফাইন্ড আর অপরিশোধিত দুই খাদ্য তেলের উপর আমদানি শুল্ক কম করেছিল। শেষবার আমদানি শুল্ক কম করা হয়েছিল ২০ ডিসেম্বর। সেই সময় সরকার মার্চ ২০২২ পর্যন্ত রিফাইন্ড পাম তেলের উপর সীমা শুল্ক ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করে দিয়েছিল।
সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সরকার ব্যবসায়ীদের ২০২২ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও এক বছর বিনা লাইসেন্সে রিফাইন্ড পাম তেল আমদানি করার অনুমতি দিয়েছে। তথা বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা অপরিশোধিত পাম তেল আর অন্যান্য কিছু কৃষি পণ্যের নতুন চুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এসআইএ-র অনুযায়ী, ভারতে খাদ্য তেলের চাহিদা ২.২-২.২৫ কোটি টন যার মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ তেল আমদানি করা হয়। দেশ চাহিদা আর সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান কম করার জন্য ১.৩ থেকে ১.৫ কোটি টন খাদ্য তেল আমদানি করে।