Edible Oil Price: মধ্যবিত্তের জন্য দারুণ খবর! প্রতি লিটারেই ১০-১৫ টাকা কমছে তেলের দাম
Edible Oil Price: খাদ্য় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি বড় ব্রান্ডের তরফেই ভোজ্য তেলের দাম বেশ অনেকটা কমানো হয়েছে। সর্ষের তেলের দাম যেখানে ১ জুন ১৮৩ টাকা ৬৮ পয়সা ছিল, সেখানেই ২১ জুন তা সামান্য় কমে ১৮০ টাকা ৮৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
নয়া দিল্লি: রান্নার গ্যাসের দামে এমনিতেই হেঁশেলে ধরেছে আগুন। তার উপরে চড়চড়িয়ে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। এর জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন গৃহস্থরা। ভাল-মন্দ তো দূরের কথা। সাধারণ ভাত-ডালের সঙ্গে একটা মাছ বা তরকারি রান্নার করার জন্যও অনেককে চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে দাম বেড়েছে অপরিশোধিত তেলের। এর জেরে জ্বালানির পাশাপাশি ভোজ্য তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাধারণ মানুষকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। বাজারের নজরদারি ও রফতানিতে রাশ টানতেই কিছুটা দাম কমেছে ভোজ্য তেলের। এবার আরও বড় সুখবর, এক ধাক্কায় অনেকটা কমতে পারে তেলের দাম। প্রতি লিটারেই দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমতে পারে।
বুধবারই কেন্দ্রের খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে জানান, সরকারের সঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা কমতেই দেশের বাজারেও বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে ভোজ্য তেলের দাম। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাদামের তেল বাদ দিয়ে প্য়াকেট করা বাকি ভোজ্য তেলের দাম সামান্য হলেও কমেছে। বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৯০ টাকা প্রতি লিটারেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল।
গত সপ্তাহেই তৈল উৎপাদক সংস্থা আদানি উইলমার ও মাদার ডেয়ারি সংস্থার তরফে রান্নায় ব্যবহৃত একাধিক তেলের দাম কমানো হয়েছিল। প্রতি লিটারে তেলের দাম প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানো হয়েছে। দুই সংস্থার তরফেই জানানো হয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নতুন দামের এই তেলের প্যাকেট বাজারে পৌঁছে যাবে।
খাদ্য সচিব জানান, সরকারের সঠিক সময়ে সদর্থক পদক্ষেপের জন্যই ভোজ্য় তেলের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। শুধুমাত্র ভোজ্য় তেলই নয়, গম ও আটা-ময়দার দামও তুলনামূলকভাবে বিগত কয়েক মাসের তুলনায় অনেকটাই কম ও স্থিতিশীল রয়েছে। বিদেশে রফতানিতে রাশ টানার পাশাপাশি দেশের বাজারে যাতে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার জন্য নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে।
খাদ্য় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি বড় ব্রান্ডের তরফেই ভোজ্য তেলের দাম বেশ অনেকটা কমানো হয়েছে। সর্ষের তেলের দাম যেখানে ১ জুন ১৮৩ টাকা ৬৮ পয়সা ছিল, সেখানেই ২১ জুন তা সামান্য় কমে ১৮০ টাকা ৮৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। বনস্পতির দামও বর্তমানে ১৬৫ টাকা কেজিতে কমে দাঁড়িয়েছে। সোয়াবিন তেলের দামও ১৬৯ টাকা থেকে কমে ১৬৭ টাকায় পৌঁছেছে। পাম তেলের দাম ১৫৬ টাকা থেকে কমে ১৫২ টাকায় পৌঁছেছে।