এটিএম থেকে জালনোট বেরোলে কী করবেন?
এটিএম থেকে নগদ টাকা তুলে তা ব্যবহার করেন। তবে জালনোটের রমরমার বাজারে এটিএম থেকেও মাঝেমধ্যে জালনোট বেরোতে দেখা যায়।
অতিমারি পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল লেনদেন জনপ্রিয় হয়েছে দেশে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নগদ টাকার গুরুত্ব কমেনি। দৈনন্দিন জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই নগদ টাকার দরকার পড়ে। নগদ টাকা না থাকলে সমস্যায় পড়তে হয়। নগদের জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন এটিএমে। এটিএম থেকে নগদ টাকা তুলে তা ব্যবহার করেন। তবে জালনোটের রমরমার বাজারে এটিএম থেকেও মাঝেমধ্যে জালনোট বেরোতে দেখা যায়। এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় যদি আপনি জাল নোট পান, তাহলে কী করবেন।
জাল নোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করুন এই কাজটি-
- আপনি যদি এটিএম থেকে টাকা তোলেন এবং আপনার মনে হয় যে নোটটি আসল নয়, তাহলে প্রথমে এটির একটি ছবি তুলে নিন।
- এরপর এটিএমে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে নোটটি উল্টে দেখান। যাতে ক্যামেরায় রেকর্ড করা যায় যে এই নোটটি এটিএম থেকেই বেরিয়েছে।
- এখন এই লেনদেনের রসিদ নিন এবং একটি ছবি তুলে রেখে দিন।
- এটিএম থেকে বের হওয়া নোট ও রসিদ নিয়ে ব্যাঙ্কে যান।
পুরো বিষয়টি ব্যাংকারকে বলুন। তারপর আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। যা পূরণ করে আপনাকে রসিদ এবং জাল নোট সহ ব্যাঙ্কে দিতে হবে। ব্যাঙ্ক এই জাল নোট চেক করবে এবং তার পর আপনাকে আসল নোট দেবে। আপনি যদি একটি বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন করেন এবং তার পরে আপনি একটি জাল নোট পান, তাহলে আপনাকে এই নোটটি নিয়ে RBI-এর কাছে যেতে হবে। রসিদ এবং নোট RBI কে দিতে হবে। তারপর আরবিআই তদন্ত করবে।
এভাবে আসল-জাল নোট শনাক্ত করুন
RBI জাল নোট শনাক্ত করার জন্য কিছু পদ্ধতি দিয়েছে। যেটিতে প্রথমে আপনাকে ১০০ টাকার আসল নোটটি ভালো করে দেখতে হবে। 100 এর সামনের উভয় পাশে দেবনাগরী লিপিতে লেখা। একই সঙ্গে মাঝখানে রয়ে গেছে মহাত্মা গান্ধীর ছবি। একইভাবে, অন্যান্য নোটগুলিতে, সামনের দিকে একটি সুরক্ষা থ্রেড রয়েছে। আপনি যদি টর্চ বা ইউভি লাইটের নীচে তাকান তবে এটি হলুদ রঙে দেখাবে। এভাবে আপনি জাল-আসল নোট শনাক্ত করতে পারবেন।