Insurance News: পয়লা জানুয়ারি থেকে বিমার নিয়মে আসতে চলছে বড়সড় বদল, শুরু হতে চলেছে নয়া নিয়ম
Insurance News: বীমা নিয়েই আমাদের অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন থাকে। অনেকেই পলিসি ডকুমেন্ট পড়ে হয়তো সেগুলির উত্তর পান না। টোটাল কভারেজ, সাম অ্যাসিয়োর্ড, ম্যাক্সিমাম বেনিফিট - এগুলো নিয়ে আমাদের অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। এ নিয়েই এবার স্বচ্ছতা আনতে চাইছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নয়া দিল্লি: নতুন বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে বিমার নিয়মকানুনে বদল আসছে। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা আইআরডিএ- জানিয়েছে, নতুন বছর থেকে বিক্রি হওয়া প্রতিটা বিমার ক্ষেত্রে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য দিতে হবে ক্রেতাকে। এমন ভাবে সেটা দিতে হবে, যাতে একজনেরও বীমার খুঁটিনাটি বুঝতে অসুবিধা না হয়। অর্থাত্ নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আপনি বীমা করালে পলিসি ডকুমেন্ট তো পাবেনই। সঙ্গে পাবেন কাস্টমার ইনফরমেশন শিট বা সিআইএস। এখানে আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর থাকবে।
আইআরডিএ জানাচ্ছে, কাস্টমার ইনফরমেশন শিটটি এমন ভাবে তৈরি হচ্ছে, যাতে যে কোনও মানুষ বীমা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যায়। বীমা নিয়েই আমাদের অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন থাকে। অনেকেই পলিসি ডকুমেন্ট পড়ে হয়তো সেগুলির উত্তর পান না। টোটাল কভারেজ, সাম অ্যাসিয়োর্ড, ম্যাক্সিমাম বেনিফিট – এগুলো নিয়ে আমাদের অনেকেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই। এর পাশাপাশি রয়েছে হিডেন ক্লস বা এমন তথ্য যা বীমা করানোর সময় লুকিয়ে রাখা হয়। আর তাই ক্রেতাদের মনের মধ্যেও অনেক ধোঁয়াশা থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্য়ই স্বাস্থ্য বীমার কথা বলতে হয়। স্বাস্থ্যবীমার সব খুঁটিনাটি আমরা বুঝে উঠতে বা জানতে পারি না। যেমন, স্বাস্থ্যবীমায় রুম রেন্ট ক্লস। ধরুন, আপনার ১০ লাখ টাকার একটা ফ্যামিলি ফ্লোটাল স্বাস্থ্যবীমা করা আছে। আপনি দশ বছর ধরে বীমা রিনিউয়াল করছেন। স্বভাবতই কভারেজের অঙ্ক অনেকটা বেড়েছে। তো এবার আপনি কোনও একটা কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। বিল হল, ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু শুনলেন বীমা সংস্থা নাকি ৩ লক্ষ টাকার বেশি মঞ্জুর করছে না। বাকিটা আপনাকেই পকেট থেকে দিতে হবে। এমনটা কী হয় না? ঘনঘন হয়। প্রচুর হয়। যার হয়, তিনিই বোঝেন সেই পরিস্থিতি কতটা কঠিন।
এবার প্রশ্ন হল, ১০ লাখ টাকার বার্ষিক বীমায় কেন বীমা সংস্থা মাত্র ৩ লাখ টাকা মঞ্জুর করবে? করবে, তার কারণ আপনি হয়তো এমন একটা রুমে ছিলেন যাঁর ভাড়া সাড়ে ৭ হাজার টাকা। অথচ বীমার শর্ত অনুযায়ী হাসপাতালের ঘর ভাড়া বাবদ সর্বোচ্চ মিলবে ৫ হাজার টাকা। সেই অনুপাতে অন্যান্য খরচের বোঝাও স্রেফ আপনার – আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। তাই বছরের পর বছর বীমার টাকা দিলেও প্রয়োজনের সময় আপনাকে পকেটের টাকাই খরচ করতে হবে। হাসপাতালে ভর্তির সময় কেইবা বীমার ক্লস মাথায় রাখেন? নাকি সেটা রাখা সম্ভব?
আইআরডিএ-র বক্তব্য, শুধু স্বাস্থ্যবীমা নয়, সব ধরনের বীমার ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হয়। গ্রাহকরা অসুবিধায় পড়েন। হয়রানির শিকার হন। তাই সোজা ভাষায় তার প্রশ্নগুলির উত্তর দিতেই কাস্টমার ইনফরমেশন শিট আনা হচ্ছে। এখানে ছোট – ছোট প্রশ্ন ও উত্তরের মাধ্যমে গ্রাহকের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর থাকবে। বীমার যাবতীয় খুঁটিনাটি এই ইনফরমেশন শিট থেকেই মিলবে। আইআরডিএ-র এক কর্তা বলছেন, আমরা গ্রাহকদের বলব, এই কাস্টমার ইনফরমেশন সিটটা জেরক্স করে কপি রেখে দিতে। প্রয়োজনের সময় এটাই হতে পারে মুশকিল আসান। বীমায় কী কী মিলবে, কী কী মিলবে না, আপনার কোনটা অধিকাক, কোনটা আপনি দাবি করতে পারবেন না – এটা দেখেই গ্রাহক বুঝে যাবেন। আইআরডিএ’র দাবি, বীমায় স্বচ্ছতা আনতেই পদক্ষেপ। এতে গ্রাহক পরিষেবা অনেকটাই উন্নত হবে।