PF Interest: কেন্দ্রীয় সরকার দিল চাকুরিজীবীদের দীপাবলীর উপহার, পিএফের সুদের হার বজায় থাকল ৮.৫%
PF Interest: আর্থিক বছর ২০১৯-২০-এর জন্য প্রদত্ত ইপিএফ সুদের হার ২০১২-১৩-র পর সবচেয়ে কম ছিল। ইফিএফও নিজেদের অংশীদারদের ২০১৬-১৭-য় ৮.৬৫ শতাংশ আর ২০১৭-১৮-য় ৮.৫৫ শতাংশ সুদ দিয়েছিল। ২০১৫-১৬-য় সুদের হার ৮.৮ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি ছিল।
নতুন দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার দীপাবলীর উৎসব উপলক্ষে দেশজুড়ে প্রায় ৫ কোটিরও বেশি চাকুরিজীবীদের দুর্দান্ত উপহার দিল। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্থাৎ ইফিএফের উপর ৮.৫ শতাংশ সুদের হার মঞ্জুর করে দিয়েছে। সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে ইপিএফও দ্রুতই এটি জমা করবে।
রিটায়ারমেন্ট ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন এমপ্লয়ী প্রফিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফওর ৫ কোটির বেশি সাবস্ক্রাইবারের জন্য দীপাবলীর ঠিক আগেই এটি যথেষ্ট খুশির খবর। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর সভাপতিত্বাধীন সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টি অর্থাৎ সিবিটি এই বছর মার্চ মাসে গত আর্থিক বছরের জন্য এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড জমার উপর ৮.৫ শতাংশ সুদের হার ঠিক করে দিয়েছিল। সিবিটিই ইপিএফওর নির্ণয় নেওয়ার সর্বোচ্চ সংস্থা। পুরোনো নিয়ম অনুযায়ী এই সুদের হারের উপর সিবিটি-র সিদ্ধান্ত মঞ্জুরী জন্য অর্থমন্ত্রকের কাছে গিয়েছিল, এবার অর্থমন্ত্রকের তরফে তাতে মঞ্জুরীও দিয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে এই সুদের হার সরকারি গেজেটে অনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তারপরেই তা গ্রাহকদের খাতায় জমা করা হবে।
একটি সূত্র শুক্রবার জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রক ২০২১-২১ অর্থিক বছরের জন্য ইপিএফের সুদের হারকে মঞ্জুরী দিয়ে দিয়েছে আর এখন এটি পাঁচ কোটির বেশি অংশীদারদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে। গত বছর মার্চ মাসে ইপিএফও ২০১৯-২০ বছরের জন্য এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ডের উপর সুদের হার ৭ বছরে সবচেয়ে কম করে ৮.৫ শতাংশ করে দিয়েছিল। এটি ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ছিল ৮.৬৫ শতাংশ।
আর্থিক বছর ২০১৯-২০-এর জন্য প্রদত্ত ইপিএফ সুদের হার ২০১২-১৩-র পর সবচেয়ে কম ছিল। ইফিএফও নিজেদের অংশীদারদের ২০১৬-১৭-য় ৮.৬৫ শতাংশ আর ২০১৭-১৮-য় ৮.৫৫ শতাংশ সুদ দিয়েছিল। ২০১৫-১৬-য় সুদের হার ৮.৮ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি ছিল।
প্রসঙ্গত ইপিএফও একটি নিশ্চিত ফিক্সড রিটার্ন পদ্ধতি, প্রতি বছরেই যআ সিবিটি দ্বারা ঘোষিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে এতে ট্যাক্স ছাড় থাকার কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি যথেষ্ট আকর্ষণীয়। ইপিএফও বিনিয়োগকারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন আর বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে দারুণভাবে সামাজিক নিরাপত্তাও প্রদান করে।
আরও পড়ুন: Fraud Arrest: ‘আবগারি কর্তা’ ওয়াইন শপের লাইসেন্স করে দেবেন বলে ১৭ লক্ষ টাকা নেন! তারপর…