Indian Railways: প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর, ট্রেনের টিকিটে আবার চালু হতে পারে ছাড়ের ব্য়বস্থা
Indian Railways: করোনাকালে অধিকাংশ ট্রেন চলাচলই বন্ধ থাকায়, রেলের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করার জন্যই ছাড় প্রত্য়াহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল বিভাগ। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় এবং পুরদমে রেল পরিষেবা চালু হওয়ায় টিকিটে ছাড়ের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করছে রেলমন্ত্রক।
নয়া দিল্লি: রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর। আবার চালু হতে পারে টিকিটে ছাড়, এমনটাই খবর রেলমন্ত্রক সূত্রে। করোনাকালে একাধিক ট্রেনের ভাড়া থেকে যে ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছিল, এবার সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে, ফের টিকিটে ছাড়ের ঘোষণা করা হতে পারে। এরমধ্যে প্রবীণ নাগরিক থেকে খেলোয়াড়, বিভিন্ন শ্রেণিও অন্তর্গত রয়েছে,যারা এতদিন ট্রেনের টিকিটে ছাড় পাননি।
সূত্রের খবর, করোনাকালে অধিকাংশ ট্রেন চলাচলই বন্ধ থাকায়, রেলের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করার জন্যই ছাড় প্রত্য়াহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল বিভাগ। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় এবং পুরদমে রেল পরিষেবা চালু হওয়ায় টিকিটে ছাড়ের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করছে রেলমন্ত্রক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “রেলের উপরে বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল আয়। তবুও আমরা টিকিটে ছাড়ের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। বর্তমানে রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে করোনা সংক্রমণ যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন রেলের স্বাভাবিক পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছিল। হাতে গোনা কয়েকটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ছাড়া কোনও ট্রেনই চলছিল না লকডাউনের সময়ে। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও, টিকিটে যে বিভিন্ন ছাড় দেওয়া হয়, বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের, তা তুলে নেওয়া হয়। ফলে সকল যাত্রীদেরই সমান ভাড়া দিতে হচ্ছে এখনও অবধি। এই ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা একাধিকবার সরব হয়েছেন। এমনকি বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও প্রশ্ন তুলেছিলেন যে প্রবীণ নাগরিকরা ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে যে ছাড় পান, তা তুলে কেন নেওয়া হল, যেখানে সাংসদরা এখনও যাবতীয় ছাড় ও সুবিধা পাচ্ছেন।
গতবছর সংসদে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনাকালে রেলের আয় অনেকটাই কমে যাওয়ায়, টিকিটে ছাড় দেওয়া বর্তমানে রেলের কাছে অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।