India’s Most Expensive City: মুম্বইয়ে বসবাস সবথেকে খরচসাপেক্ষ, কলকাতায় থাকা কতটা দামি জানেন?
Expensive City: মুম্বইয়ের পরই সবথেকে দামি শহর হল হায়দরাবাদ। এই শহরে বাড়ি কেনার জন্য আয়ের প্রায় গড়ে ৩১ শতাংশ ইএমআই-তে ব্যয় হয়। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি।
নয়া দিল্লি: মাথার উপরে পাকা ছাদ কে না চান। কিন্তু যে হারে মূল্যবৃদ্ধি (Inflation) হচ্ছে, তাতে ঘর-বাড়ির দামও চড়চড়িয়ে বাড়ছে। আপনি কোন শহরে, কোন এলাকায় থাকছেন, তার উপরেও নির্ভর করে বাড়ির দাম। সম্প্রতিই নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া নামক একটি নামকরা সম্পত্তি বিষয়ক পরামর্শদাতা সংস্থার তরফে প্রকাশ করা হল একটি রিপোর্ট, যেখানে দেশের কোন শহর সবথেকে সস্তা থেকে শুরু করে কোন শহরে বসবাস করা সবথেকে খরচ সাপেক্ষ তা তুলে ধরা হল।
ওই সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সবথেকে সস্তা বাসযোগ্য শহর হল আহমেদাবাদ (Ahmedabad)। আর সবথেকে দামি শহর হল বাণিজ্যনগরী মুম্বই (Mumbai)। কোন শহরে বসবাস কতটা সাধ্যের মধ্যে, তা বিচার করা হয়েছে ওই শহরে গৃহ ঋণ নিয়ে একটি বাড়ি কিনলে, তার জন্য মাসিক কত ইএমআই (EMI) দিতে হয়, তার সঙ্গে শহরে বসবাসকারী পরিবারের গড় আয়কে ভাগ করে।
যদি কোনও পরিবারের আয়ের ৪০ শতাংশ ইএমআই-তে খরচ হয়, তবে তাকে গড় বাসযোগ্য বলে গণ্য করা হয়। যদি কোনও শহরে একটি পরিবারের আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি ইএমআই-তে খরচ হয়, তবে তা সাধ্যের বাইরে বলেই গণ্য করা হয়। এই অঙ্কের হিসাবেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বাড়ির মার্কেট অনুযায়ী সবথেকে খরচ সাপেক্ষ শহর হল মুম্বই।
মুম্বইয়ে একটা বাড়ির ইএমআই-তে পরিবারের গড়ে ৫৫ শতাংশ রোজগারই ব্যয় হয়। অর্থাৎ মাসিক আয়ের অর্ধেকেরও বেশি ঋণ মেটাতেই খরচ হয়ে যায়।
মুম্বইয়ের পরই সবথেকে দামি শহর হল হায়দরাবাদ। এই শহরে বাড়ি কেনার জন্য আয়ের প্রায় গড়ে ৩১ শতাংশ ইএমআই-তে ব্যয় হয়। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। এই শহরে বসবাসের জন্য় আয়ের ৩০ শতাংশ ইএমআই-র পিছনে খরচ করতে হবে। তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহর রয়েছে চতুর্থ স্থানে। এই শহরে বাড়ি কেনার জন্য় ২৮ শতাংশ ইএমআই-এ ব্যয় করতে হবে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের পুণে। সেখানে আয়ের ২৬ শতাংশ ঋণে ব্যয় হয়।
পুণের মতোই খরচসাপেক্ষ কলকাতাও। এই শহরেও মাথার উপরে ছাদ তৈরি বা কিনলে নিজের রোজগারের ২৬ শতাংশ মাসিক ইএমআই-তে খরচ করতে হয়।
দেশের মধ্যে সবথেকে সস্তা শহর হল আহমেদাবাদ। গুজরাটের এই শহরে বাড়ি কেনার জন্য পরিবারের গড়ে আয়ের ২৩ শতাংশ খরচ করতে হয়।
ওই রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, বিগত এক বছরে এই শহরগুলিতে থাকা অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে। প্রতিটি শহরেই ইএমআই-র হার ১ থেকে ২ শতাংশ বেড়েছে।