Home Loan Charges: নতুন বছরে নয়া ঠিকানার কথা ভাবছেন? কী কী খরচ বহন করতে হবে, জানেন তো?

Home Loan Charges: একাধিক ব্যাঙ্কে (Bank) গৃহঋণের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় অফার ও ছাড় দেওয়া হয়। ঋণ নেওয়ার সময় আমরা ইএমআই(EMI), সুদের হার (Interest Rate) ও অতিরিক্ত যে খরচগুলি লাগে, সেই সম্পর্কেই খোঁজ খবর নিই। কিন্তু অনেক সময়ই ছোটখাটো অনেক তথ্যই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আমাদের খরচকে (Hidden Charge) আরও বাড়িয়ে তোলে।

Home Loan Charges: নতুন বছরে নয়া ঠিকানার কথা ভাবছেন? কী কী খরচ বহন করতে হবে, জানেন তো?
বাড়ির ঋণ নিলে কী কী খরচ বহন করতে হয় জানেন? প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2021 | 2:46 PM

নয়া দিল্লি: নতুন বছরে পরিবারকে নতুন বাড়ি উপহার দিতে চাইছেন? কিংবা পুরনো বাড়িরই সংস্কার করে সাজিয়ে তুলতে চাইছেন নতুনভাবে। সংস্কার বা নতুন বাড়ি, দুটিই বেশ খরচ সাপেক্ষ। অনেক সময় প্রয়োজন থাকলেও নগদ অর্থ না থাকায়, কাজ আটকে গিয়েছে। সেই সময় অনেকেই বাধ্য হয়ে ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হন ঋণ (Home Loan) নেওয়ার জন্য।

একাধিক ব্যাঙ্কে (Bank) গৃহঋণের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় অফার ও ছাড় দেওয়া হয়। ঋণ নেওয়ার সময় আমরা ইএমআই(EMI), সুদের হার (Interest Rate) ও অতিরিক্ত যে খরচগুলি লাগে, সেই সম্পর্কেই খোঁজ খবর নিই। কিন্তু অনেক সময়ই ছোটখাটো অনেক তথ্যই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আমাদের খরচকে (Hidden Charge) আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই ঋণ নেওয়ার সময় কী কী বিষয় নজরে রাখবেন, তা একনজরে দেখে নিন-

১. প্রসেসিং ফি– যে কোনও ঋণ নেওয়ার জন্যই আবেদন করতে হয়, আর আবেদনের জন্য় একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ফি হিসাবে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। প্রসেসিং ফি(Processing Fee) ছাড়াও কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন (KYC Verification), এমপ্লয়মেন্ট ভেরিফিকেশন(Employment Verification), ক্রেডিট হিস্ট্রি অ্যাসেসমেন্ট (Credit History Assessment) সহ একাধিক কাজ মেটানোর জন্যও টাকা দিতে হয়।

২.  প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন ও আইনি খরচ– যখনই কোনও বাড়ি সংস্কার বা নির্মাণের জন্য আপনি ঋণের আবেদন করবেন, তখনই ব্যাঙ্কের তরফে একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ(Technology Expert)-কে নিয়োগ করা হয়, যিনি ওই সম্পত্তির মূল্যায়ন করে, তার বাজার দর কত, তা জানান। জমির মালিকানা থেকে শুরু করে তার প্রকৃতি, আশেপাশের এলাকা সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। এরজন্য বেশ মোটা অঙ্কের খরচ বহন করতে হয় ঋণ আবেদনকারীকে। অনেক সময় প্রসেসিং ফি-র মধ্যেই এই খরচ ধরা থাকলেও, যে বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করা হয়, তার আইনি খরচ সরাসরি তাকেই দিতে হয়।

৩. প্রি-ইএমআই– যদি ঋণ মঞ্জুর হয়ে যাওয়ার পর জমি অধিগ্রহণে অতিরিক্ত সময় লাগে, তবে ঋণদাতা সুদ লাগু করেন। এটিকে “প্রি-ইএমআই”(Pre-EMI) বলা হয়।

৪. স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন চার্জ– ঋণ চূড়ান্ত হয়ে গেলে ঋণ গ্রহীতাকে ঋণদাতার কাছে সম্পত্তির আসল দলিল জমা রাখতে হয় গ্য়ারান্টি হিসাবে। সুদ সহ ঋণ মিটিয়ে দিলেই সেই দলিল ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। এরজন্য যে স্মারকলিপিটি স্বাক্ষর করা হয়, তার জন্য স্ট্য়াম্প ডিউটি (Stamp Duty) ও রেজিস্ট্রেশন চার্জ (Registration Charge) লাগে। এই খরচও ঋণ গ্রহীতাকেই বহন করতে হয়।

৫. ঋণের নথির জন্য খরচ– সাব রেজিস্ট্রারের অধীনে যখন ঋণ চূড়ান্ত হয়ে যায়, তখন গৃহ ঋণের যাবতীয় নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অধিকাংশ সময়ই এই নথি তৃতীয় কোনও পক্ষের কাছে রাখা হয়। এই কাজের জন্য যাবতীয় খরচও ঋণ গ্রহীতাকেই দিতে হয়।  এছাড়া প্রসেসিং ফি, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ফি সহ একাধিক ক্ষেত্রে আলাদাভাবে জিএসটি(GST)-ও দিতে হয়।

৬. ঋণ পুনঃঅনুমোদনের খরচ: অধিকাংশ ঋণেরই একটি মেয়াদ থাকে, এই সময়ের মধ্যেই ঋণ গ্রহীতাকে সুদ সহ ঋণের অঙ্ক মিটিয়ে দিতে হয়। ওই নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে, ঋণের পুনঃঅনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হয়। এরজন্য় অতিরিক্ত টাকা লাগে।

৭. ইএমআই খেলাপ হলে অতিরিক্ত খরচ: যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইএমআই দিতে না পারেন বা চেক বাউন্স করে, তবে জরিমানা হিসাবে একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক নেয় ব্য়াঙ্ক। এছাড়া টাকা উদ্ধারের জন্য ব্যাঙ্ক যে অর্থ খরচ করে, তার বোঝাও ঋণ গ্রহীতার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।

৮. ঋণের মেয়াদ পরিবর্তন বা একেবারে ঋণ মিটিয়ে দেওয়ার খরচ: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আর্থিক অবস্থারও পরিবর্তন হয়। যদি কোনও ঋণদাতা ঋণের মেয়াদ বাড়াতে চান, বা একেবারে সম্পূর্ণ অর্থ মিটিয়ে দিতে চান, তবে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে।

আরও পড়ুন: Online payment New Rule: ১ জানুয়ারী নয়, অনলাইন পেমেন্টের নতুন নিয়মের সময়সীমা আরও বাড়ল