PM Narendra Modi: লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ সুযোগ, প্রাক বাজেট নিয়ে আজ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Budget 2023 Expectation: করোনাকালে বিশ্বের বাকি দেশের মতো ভারতের অর্থনীতিও দুর্বল হয়েছিল। ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই কারণে বিশেষ কোনও আর্থিক সংস্কারের নিয়ম এনে ঝুঁকি নেয়নি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
নয়া দিল্লি: হাতে আর এক মাসও সময় নেই। সামনেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2023)। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই শেষ বাজেট হওয়ায়, এবারের বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ-সকলেরই প্রত্যাশা অনেক। অর্থ সংক্রান্ত একাধিক নিয়মে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রয়েছে এই কেন্দ্রীয় বাজেটে। আজ সেই বাজেটের প্রস্তুতি কতদূর, তা খতিয়ে দেখতেই বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রাক বাজেট বৈঠকে বসবেন। নীতি আয়োগের সদর দফতরে এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা আজকের এই বৈঠকে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ ছাড়াও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সহ অন্যান্য মন্ত্রকের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকে মূলত এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটের আলোচ্য় বিষয়গুলি থেকে শুরু করে দেশের জিডিপি, আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বাজেট সংক্রান্ত নানা পরামর্শ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সরকারের পরিকল্পিত বিভিন্ন নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতামতও গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
করোনাকালে বিশ্বের বাকি দেশের মতো ভারতের অর্থনীতিও দুর্বল হয়েছিল। ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই কারণে বিশেষ কোনও আর্থিক সংস্কারের নিয়ম এনে ঝুঁকি নেয়নি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। চলতি বছরের মার্চ মাসে, অর্থবর্ষের হিসাব অনুযায়ী ৭ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা। ২০২১-২২ সালে দেশে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ ছিল। যদি এই হারে আর্থিক বৃদ্ধি হয়, তবে ভারত যে দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির দেশের তকমা পেয়েছিল, তা খোয়াতে পারে।
গত অর্থবর্ষের শুরুর আগে কেন্দ্রের তরফে আর্থিক প্রবৃদ্ধি বা জিডিপির হার ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সেই বৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।