2000 Rs Withdrawal: ২০০০ টাকার নোট উঠে যাচ্ছে, আপনার উপর ঠিক কী প্রভাব পড়বে?
2000 Rs Withdrawal: বর্তমানে বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের মধ্যে ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭ সালের মার্চ মাসের আগে ছাপানো হয়েছে। ফলে তাদের আনুমানিক জীবনকাল অর্থাৎ ৪-৫ বছর পর পার করে গিয়েছে।
নয়া দিল্লি: বড় সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India)। বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট। শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের (2000 Rs Withdrawal) কথা ঘোষণা করা হয়। এবার থেকে আর নতুন করে ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হবে না। বাজারে বর্তমানে যত নোট রয়েছে, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আগামী ২৩ মে থেকে সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করে আনতে পারবেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি এই নোট পরিবর্তন করা যাবে। এরপরে গেলে আর নোট পরিবর্তন করা যাবে না। ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়ে আনা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। মাত্র ৬ বছর ১০ মাস পরই সেই নোট বাজার থেকে বিদায় নিতে চলেছে। এবার প্রশ্ন উঠছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক?
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের মধ্যে ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭ সালের মার্চ মাসের আগে ছাপানো হয়েছে। ফলে তাদের আনুমানিক জীবনকাল অর্থাৎ ৪-৫ বছর পর পার করে গিয়েছে। বর্তমানে বাজারে ২০০০ টাকা নোট ব্যবহার করা গেলেও, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে সেই নোট পরিবর্তন করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের এই নোট প্রত্য়াহারের পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলেও বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, নোট প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব পড়বে না। বর্তমানে পেমেন্ট পরিষেবা অনেকটাই ডিজিটালাইজেশন হওয়ায় বাজারেও এর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে যখন ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল, তখন যে হারে নোটের ব্য়বহার ছিল, তা বর্তমানে অনেকটাই কমে গিয়েছে। বর্তমানে ছোট থেকে বড় আর্থিক লেনদেন অনলাইনে ইউপিআই-র মাধ্য়মে করা হয়।
যেহেতু ইতিমধ্য়েই বাজারে ২০০০ টাকার নোটের খুব একটা চল নেই, সেই কারণে নোট প্রত্য়াহার করা হলে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। বর্তমানে ভারতে ডিজিটাল লেনদেনও অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায়, সাধারণ মানুষের উপরেও এই সিদ্ধান্তের কোনও প্রভাব পড়বে না।
অর্থনীতিবিদরাও জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তে যাদের কাছে কালো টাকা রয়েছে, তারাই সমস্যায় পড়বে। কারণ সাধারণ মানুষ এই কালো টাকা গ্রহণ করতে চাইবে না। আরবিআই-র এই সিদ্ধান্তে কর সংগ্রহেও সুবিধা হবে, যা বাজারের পক্ষে লাভজনক।