Cyber Security: অনলাইনে প্রতারণা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার? এবার আর্থিক সুরক্ষা দেবে SBI
Cyber Security: এসবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, এই সাইবার প্রোকেটশনের অধীনে শুধু অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতারণা থেকে নয়, একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং, বুলিং ও স্টকিং থেকেও সুরক্ষা দেওয়া হবে।
মুম্বই: ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার প্রতারণার ঝুঁকি। সাইবার প্রতারণার ঝুঁকি থেকে বাঁচতেই বর্তমানে বেশ কিছু সাইবার প্রোটেকশন বা সিকিউরিটি পাওয়া যায়। তবে এতদিন সেই সুরক্ষা কেবল কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই ব্যবহার করতে পারত। এবার ব্যক্তি সাধারণও ইচ্ছা বা প্রয়োজন অনুযায়ী, সাইবার প্রতারণা ও অপরাধের হাত থেকে বাঁচতে প্রোকেটশন কিনতে পারেন। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শাখা প্রতিষ্ঠান এসবিআই জেনারেল ইন্সুরেন্সের তরফে ‘সাইবার ভল্ট এজ’ নামক একটি সাইবার নিরাপত্তা পরিষেবা আনা হল। এই পরিষেবার অধীনে অনলাইনে কাজের সময়ে যদি কোনও ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হন, তাদের সম্মানহানি হয় বা অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতারিত হন, তবে সাইবার ভল্ট এজের তরফে আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া হবে।
এসবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, এই সাইবার প্রোকেটশনের অধীনে শুধু অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতারণা থেকে নয়, একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং, বুলিং ও স্টকিং থেকেও সুরক্ষা দেওয়া হবে। এই বিষয়ে এসবিআই জেনারেল ইন্সুরেন্সের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনন্দ পেজাওয়ার বলেন, “ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের যুগে সকলেই নতুন নতুন বিপদ নিয়ে সতর্ক হচ্ছেন। ইন্টারনেটে বা সাইবার ঝুঁকি নিয়ে যে বিপদ বাড়ছে, তার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কম খরচে কীভাবে সাইবার সুরক্ষা পাওয়া যায় এবং আর্থিক ক্ষতি হ্রাস করা যায়, তার চেষ্টাই করা হচ্ছে। গ্রাহকদের আর্থিক সুরক্ষার ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।”
কীভাবে সুবিধা পাওয়া যাবে?
এই প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সুবিধা পেতে গ্রাহককে অনলাইনে আর্থিক ক্ষতি বা প্রতারণার কোনও প্রমাণ দিতে হবে। পুলিশে এফআইআর বা আদালতের আইনি নোটিসকে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য করা হবে। গ্রাহকরা কোনও স্পেশালিষ্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট, সাইকোলজিস্টের দেওয়া বিল বা ইনভয়েসও প্র্মাণ হিসাবে জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি কোনও ব্যক্তি পুরনো কোনও পণ্য বা যন্ত্র বিক্রি করেন এবং তার বিনিময়ে অর্থ না পান, তবে সেটিও এই পলিসির অধীনে আসবে এবং গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে মানহানি, স্বত্ত্ব ভঙ্গ বা কপিরাইট লঙ্ঘন করা হয় বা গোপনীয়তা ভঙ্গ করা হয়, তবে এই পলিসির অধীনে সুরক্ষা পাওয়া যাবে। যদি সাইবার তোলাবাজি বা ম্যালওয়ার অ্যাটাকের শিকার হন কেউ, সেক্ষেত্রেও সুরক্ষা পাওয়া যাবে।