Tradeshift CEO: চাইলেই সেক্স, গায়ে-মুখে প্রস্রাব! সহকারীকে যৌনদাসী বানিয়েছিল সিইও

Tradeshift CEO: কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে গিয়েছিল তাঁর সব স্বপ্ন। তাঁকে যৌন দাসত্বের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিলেন সেই সিইও, অভিযোগ ওই যুবতীর। আর তারপর থেকে বছরের পর বছর ধরে তাঁর উপর চলেছে যৌন অত্যাচার।

Tradeshift CEO: চাইলেই সেক্স, গায়ে-মুখে প্রস্রাব! সহকারীকে যৌনদাসী বানিয়েছিল সিইও
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2023 | 5:45 PM

ওয়াশিংটন: অনেক স্বপ্ন নিয়ে এক প্রথম সারির মার্কিন তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার সিইও-র সহকারী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এক যুবতী। ভেবেছিলেন, অত বড় সংস্থার সিইও-র কাছ থেকে শিখতে পারবেন অনেক কিছু। দ্রুত উন্নতি ঘটবে তাঁর কর্মজীবনে। কিন্তু, কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে গিয়েছিল তাঁর সব স্বপ্ন। তাঁকে যৌন দাসত্বের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিলেন সেই সিইও, অভিযোগ ওই যুবতীর। আর তারপর থেকে বছরের পর বছর ধরে তাঁর উপর চলেছে যৌন অত্যাচার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে। অভিযোগের আঙুল ট্রেডশিফ্ট সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও ক্রিশ্চিয়ান ল্যাংয়ের বিরুদ্ধে। একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর, চলতি বছরের শুরুতেই ল্যাং-কে বরখাস্ত করেছিল সংস্থা।

নিউইয়র্ক পোস্টের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, ৪৫ বছর বয়সী ল্যাংয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মী। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে সহকারী হিসাবে নিয়োগের কয়েক মাস পরই তাঁকে নয় পৃষ্ঠার একটি যৌন দাসত্বের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিলেন ল্যাং। তারপর থেকে বছরের পর বছর ধরে চলেছে ভয়াবহ যৌন অত্যাচার। এর মধ্যে বিভিন্ন উপায়ে তাঁকে শারীরিক যন্ত্রণা দেওয়া যেমন ছিল, সেই রকম গায়ে-মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া এবং নিয়মিত যোনিতে বিভিন্ন বস্তু প্রবেশ করানোর মতো বিকৃতকামী কর্মকাণ্ডও ছিল। অভিযোগকারিনীর মতে, যৌন দাসত্বের চুক্তিতে বলা হয়েছিল, তাঁর মালিক (ল্যাং) যখন যেভাবে যৌনতা করতে চাইবেন, তাঁকে সবসময় সেই প্রয়োজন মেটাতে হবে। তাঁকে কখনই প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।

চুক্তিতে বলা হয়েছিল, দিনের শুরুতে যখনই তিনি প্রথমবার তাঁর মালিককে একান্তে পাবেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাঁটু গেড়ে বসে জিজ্ঞেস করতে হবে, মালিকের জন্য তিনি কী করতে পারেন। এমনকি যুবতীর ওজন কত হবে, তাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এই চুক্তিতে। ৫৮ কেজির কম বা ৭০ কেজির বেশি ওজন হলে চলবে না। ল্যাং যে শাস্তিই দেবে, কোনও রাগ, বিষাদ বা হতাশা ছাড়া তাঁকে সেই শাস্তি গ্রহণ করতে হবে। সমস্ত উপায়ে প্রভুর বশ্যতা স্বীকার করতে হবে। স্থান, সময় বা পরিস্থিতির কোন বাধা থাকবে না।

কিন্তু, কেন এমন সর্বনাশা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ওই যুবতী? তিনি জানিয়েছেন, তাঁর চাকরি হারানোর ভয় ছিল। প্রাথমিকভাবে তাঁকে যে কাজ করতে হত, তা তাঁর পছন্দ হত। নতুন অফিসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ট্রেডশিফ্টের মতো বড় সংস্থার কাজ করার সুযোগ হাতছাড়া না করতে চেয়েই, তিনি এক প্রকার ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

তবে, যাঁর বিরুগ্ধে এই সকল মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে, সেই ক্রিশ্চিয়ান ল্যাং কিন্তু, এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, যুবতীর সম্মতি নিয়েই তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগগুলি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ২০১৪ সালে ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। পরে, তাঁকেই তিনি সহকারী হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। আর এটাই ছিল তাঁর সবথেকে বড় ভুল।