Vijaypat Singhania: একসময় অম্বানি-আদানির থেকেও ছিলেন ধনী, আজ তাঁর ঠাঁই ভাড়াবাড়িতে
Vijaypat Singhania: বর্তমানে, রেমন্ড গোষ্ঠীর মূলধনের পরিমাণ প্রায় ১৪,২৮০ কোটি টাকা। ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত, সমগ্র রেমন্ড সাম্রাজ্যের প্রধান ছিলেন বিজয়পত। অনিল অম্বানি, মুকেশ অম্বানি, গৌতম আদানি বা ভারতের অন্যান্য সুপরিচিত ধনকুবেরদের চেয়েও ধনী ছিলেন তিনি। অথচ, সেই বিজয়পতই এখন এবং থাকেন এক ভাড়ার ফ্ল্যাটে।
মুম্বই: রেমন্ড গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে গৌতম সিংঘানিয়াকেই চেনেন সকলে। গাড়ির প্রতি তাঁর আবেগের কারণে, প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। অতি সম্প্রতি, তিনি একটি নতুন ম্যাকলারেন ৭৫০এস গাড়ি কিনেছেন। এটি তাঁর অসামান্য গাড়ির সংগ্রহে তৃতীয় ম্যাকলারেন। এর জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে গৌতমকে নিয়ে। এছাড়া, তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও তাঁকে সংবাদ শিরোনামে তুলে এনেছিল। তবে, তাঁর বাবা বিজয়পত সিংঘানিয়া খুব কম লোকই চেনেন।
বর্তমানে, রেমন্ড গোষ্ঠীর মূলধনের পরিমাণ প্রায় ১৪,২৮০ কোটি টাকা। ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত, সমগ্র রেমন্ড সাম্রাজ্যের প্রধান ছিলেন বিজয়পত। অনিল অম্বানি, মুকেশ অম্বানি, গৌতম আদানি বা ভারতের অন্যান্য সুপরিচিত ধনকুবেরদের চেয়েও ধনী ছিলেন তিনি। অথচ, সেই বিজয়পতই এখন এবং থাকেন এক ভাড়ার ফ্ল্যাটে। বিজনেস টুডে-কে এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁকে তাঁর জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে এবং একটি শালীন জীবনযাপন করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। কীভাবে ভাগ্য এতটা বদলে গেল এই শিল্পোদ্যোগীর? আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই অজানা কাহিনি।
আসলে, বিজয়পতের পতনের পিছনে রয়েছে পারিবারিক কলহ। অল্প বয়স থেকেই পারিবারিক কলহের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ১৯৪৪ সালে, ইডি সাসুন অ্যান্ড কোং সংস্থার হাত থেকে রেমন্ড কিনেছিলেন বিজয়পতের বাবা এলকে সিংঘানিয়া। তাঁর মৃত্যুর পর রেমন্ড সাম্রাজ্যের ধকল গিয়েছিল তাঁর ভাই গোপাল কৃষ্ণ সিঘানিয়া। বিজয়পতের দাবি, কাকার মৃত্যুর পর, তাঁর খুড়তুতো ভাইরা রেমন্ড সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দখল করার চেষ্টা করেছিল। তবে, সেই যাত্রা সেই ধাক্কা সামলে নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে সংস্থার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তিনি। এরপর, সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। শুধুমাত্র পশমী কাপড় প্রস্তুতকারক থেকে তিনি ব্যবসাকে কৃত্রিম কাপড়, ডেনিম, ইস্পাত, ফাইল এবং সিমেন্ট উৎপাদনকারীতে পরিণত করেছিলেন।
তবে, একসময় তিনি তাঁর উত্তরাধিকারী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করেছিলেন। ভেবেছিলেন, রেমন্ড গ্রুপকে তাঁর দুই ছেলের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেবেন। তা সত্ত্বেও, তার অন্যতম ছেলে মধুপতি সিংঘানিয়া পারিবারিক সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে সিঙ্গাপুরে পাড়ি দিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে, অপর ছেলে গৌতম সিংঘানিয়াকে তাঁর কোম্পানির সমস্ত শেয়ার দিয়ে দিয়েছিলেন বিজয়পত। আর তারপর থেকেই গৌতমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করেছিল। আর, এটাই ছিল তাঁর পতনের সূচনা। বিজয়পতের দাবি, একটি জমি নিয়ে ছেলের সঙ্গে বিবাদের জেরেই, তাঁদের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। ওই বিবাদের জেরেই বিজয়পতকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন গৌতম।