PPF withdrawal rules: আংশিকভাবে PPF-এর টাকা তুলতে চান? এই পদ্ধতি মানলে সহজেই কাজ মিটে যাবে
Pre Mature Withdrawal: ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাই লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রত্যেক বছর এই প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করেন। কারণ পিপিএফে সুদের হার বেশি, পাশাপাশি পিপিএফে বিনিয়োগ করলে সরকারি নিরাপত্তাও নিশ্চিত
কলকাতা: জীবনের যাবতীয় চাহিদা পূরণের জন্যই মানুষ আয় করেন। তবে বয়সকালে কমে কর্মক্ষমতা, সেই কারণে অবসরজীবনে টাকার প্রয়োজন মেটাতে অনেকেই বিভিন্নভাবে টাকা সঞ্চয় করেন। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Public Provident Fund) বা পিপিএফ (PPF) অবসরকালীন সঞ্চয়ের জন্য খুবই জনপ্রিয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাই লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রত্যেক বছর এই প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করেন। কারণ পিপিএফে সুদের হার বেশি, পাশাপাশি পিপিএফে বিনিয়োগ করলে সরকারি নিরাপত্তাও নিশ্চিত, টাকা খোয়া যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। পিপিএফে বার্ষিক ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা অবধি বিনিয়োগ করা সম্ভব। পিপিএফে টাকা বিনিয়োগ করলে আয়কর ছাড়ও মেলে। সেই কারণে এই প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রবণতা বেশি। পিপিএফে বিনিয়োগ করলে, ম্যাচুরিটির শেষে টাকা তুললে মুনাফার পরিমাণ ভাল হয়। বর্তমানে পিপিএফে টাকা বিনিয়োগ করলে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মেলে। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী পিপিএফে জমা রাখা সম্পূর্ণ টাকা, অ্যাকাউন্ট খোলার ১৫ বছর পর তোলা যেতে পারে। তবে ম্যাচুরিটির আগেও আংশিকভাবে পিপিএফের টাকা তোলা সম্ভব। অ্যাকাউন্ট খোলার পর ষষ্ঠ আর্থিক বর্ষে পিপিএফ থেকে আংশিকভাবে টাকা তোলা যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।
আংশিকভাবে পিপিএফ থেকে টাকা তোলা বিষয়ে খুঁটিনাটি
পিপিএফে অ্যাকাউন্ট খোলার ষষ্ঠ অর্থবর্ষেই, ম্যাচুরিটির আগে আংশিকভাবে এই টাকা তোলা যেতে পারে। ধরে নেওয়া যাক কেউ যদি ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পিপিএফের অ্যাকাউন্ট খোলেন, তবে ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষেই টাকা তোলা যাবে। তবে ম্যাচুরিটির আগে আংশিকভাবে টাকা তোলার জন্য কোনও কর দিতে হবে না। প্রত্যেক অর্থবর্ষে একবারই আংশিকভাবে টাকা তোলা যাবে। অর্থবর্ষ শেষে সুদ সমেত অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ টাকা জমা থাকবে, তার থেকে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব।
টাকা তোলার পদ্ধতি
১. অনলাইনে নিজের ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট থেকে PPF Withdrawal Form (Form C) ডাউনলোড করতে হবে। অথবা ব্যাঙ্ক থেকে অফলাইনেও ফর্ম সংগ্রহ করা যেতে পারে। এবার ফর্মের পিপিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর ও কত টাকা তুলতে চান তা উল্লেখ করতে হবে। কত বছর ধরে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট সক্রিয়, সেই কথাও উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া বর্তমানে জমা থাকা টাকার পরিমাণ, অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
২. পূরণ করা Form C-এর সঙ্গে পিপিএফ পাসবুকের কপি যোগ করতে হবে।
৩. নিজের ব্যাঙ্কে ওই ফর্ম জমা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি টাকা পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন Elon Musk Buys Twitter: মোটা টাকায় টুইটার কিনে নিচ্ছেন এলন মাস্ক! টেসলা কর্ণধারের পকেট থেকে কত খসল?