Emergency Fund: ব্যবসা শুরু করেছেন? হাতে ইমার্জেন্সি ফান্ড রয়েছে তো? নাহলে পড়তে পারেন এই সব সমস্যায়…

Emergency Fund: যারা স্বাবলম্বী হতে চান, তাদের বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ- সম্পূর্ণ সঞ্চয়ই নিজেদের সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করে। সেই কারণেই একজন ব্যবসায়ী বা উদ্যোগপতিকে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হয়।

Emergency Fund: ব্যবসা শুরু করেছেন? হাতে ইমার্জেন্সি ফান্ড রয়েছে তো? নাহলে পড়তে পারেন এই সব সমস্যায়...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2022 | 12:55 PM

কলকাতা: পড়াশোনা শেষ অনেকেই ৯টা-৫টার চাকরির বদলে চান অন্য কিছু করতে। কোনও ব্যবসার মাধ্যমে নিজেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে। ব্যবসায় একদিকে যেমন অনেক সুবিধাও রয়েছে, তেমনই আবার বেশ কিছু ঝুঁকিও থাকে। বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মতো ব্যবসায় প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট আয় যেমন নেই, তেমনই আবার অবসরের পর জমানো অর্থও থাকে না পিএফ বা অন্য কোনও সেভিং প্রকল্পের মতো। যারা স্বাবলম্বী হতে চান, তাদের বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ- সম্পূর্ণ সঞ্চয়ই নিজেদের সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করে। সেই কারণেই একজন ব্যবসায়ী বা উদ্যোগপতিকে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হয়। এক্ষেত্রে বিশেষ কাজে লাগে জরুরি তহবিল বা ইমার্জেন্সি ফান্ড।

ব্যবসায় যেখানে মাসিক আয় অনিশ্চিত বা অনির্দিষ্ট, সেখানে মোটা অঙ্ক আয়ের পর প্রথম কাজই হল আনুমানিক ছয় মাসের খরচ ইমার্জেন্সি ফান্ডের জন্য সরিয়ে রাখা। কারণ ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন মাসে কত আয় হবে, তা কেউ জানে না। যদি এক-দু’মাস আয় কোনও কারণে কম হয় বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনাদের যাতে আর্থিক কষ্টের মুখে না পড়তে হয়, সেই কারণেই ইমার্জেন্সি ফান্ডের প্রয়োজন। নিয়মিত যদি টাকা জমিয়ে আপনি কমপক্ষে এক বছর বিনা আয়েও পরিবারের ভার বহনের মতো অর্থ সঞ্চয় করে ফেলেন, তবে বিপদের সময়ে আপনাকে আর্থিক অনটনের মুখে পড়তে হবে না।

  জমা টাকা কোথায় রাখবেন?

অনেকেরই অভ্যাস থাকে টাকা খরচের। তারা হাজারো চেষ্টা করলেও, কিছুতেই টাকা জমাতে পারেন না। সেই কারণেই ইমার্জেন্সি ফান্ডের টাকা এমন কোথাও রাখুন, যেখানে ইচ্ছে হলেই আপনি খরচ করে ফেলতে পারবেন না। এর জন্য সহজ পদ্ধতি হল ফিক্সড ডিপোজিট বা সেভিং অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখা। এছাড়া ফ্লেক্সি সুইপ ইন ডিপোজিটেও টাকা জমা রাখতে পারেন।

যদি জমা অর্থে আরও ভাল রিটার্ন চান, তবে একইসঙ্গে ফিক্সড ডিপোজিট ও লিকুইড ফান্ডে টাকা জমা রাখতে পারেন।

প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিমারও-

যেহেতু আপনি স্বাবলম্বী, সেই কারণে আপনার কাছে অফিসের করে দেওয়া জীবনবিম বা অন্য কোনও স্বাস্থ্যবিমা নেই স্বাভাবিকভাবেই। তবে বিপদ কখন ঘটে যায়, তা কেউ বলতে পারে না। সেই কারণেই স্বাস্থ্যবিমা অত্যন্ত জরুরি। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা করানো অবশ্যই প্রয়োজন।