অতিমারিতে কতটা বাড়ল স্কুলছুটের সংখ্যা? কেমন চলেছে অনলাইন ক্লাস? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিল এসএফআই

Online Education: লকডাউনে ৩৮ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোন ছিল না। তার ফলে শিক্ষার অবনতি ঘটেছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ৪৩ শতাংশ সরকারি স্কুল পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোনই নেই।

অতিমারিতে কতটা বাড়ল স্কুলছুটের সংখ্যা? কেমন চলেছে অনলাইন ক্লাস? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিল এসএফআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2021 | 12:07 AM

সুমন মহাপাত্র: করোনা কালে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু সেই অনলাইন ক্লাসের জন্য সমস্যা দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। কোথাও নেটওয়ার্কের জন্য গাছের ওপরে বসে ক্লাস করেছেন পড়ুয়ারা। কোথাও আবার গরু বিক্রি করে ছেলের অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন কিনেছেন বাবা। এমনই নানা উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গত এক বছরে।

কিন্তু এই অতিমারি পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সার্বিক পরিস্থিতি কী? দেশে কতটা বাড়ল স্কুলছুটের সংখ্যা? সারা দেশে ঠিক কত জন পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোন আছে? পড়ুয়ারা কি ‘ডিজিটাল ডিভিডেন্ট’-এর শিকার হচ্ছেন? এইসব নিয়ে প্রথম দেশে সমীক্ষা করেছিল এসএফআই (SFI)। সেই রিপোর্ট শিক্ষামন্ত্রকে জমা পড়ার কথা। সবার প্রথম সেই এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট এসেছে Tv9 বাংলার হাতে।

কী আছে এই রিপোর্টে?

SFI- এর সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট বলছে, লকডাউনে ৩৮ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোন ছিল না। তার ফলে শিক্ষার অবনতি ঘটেছে। রিপোর্টে প্রকাশ, ৪৩ শতাংশ সরকারি স্কুল পড়ুয়ার কাছে স্মার্টফোনই নেই। তাহলে তারা ক্লাস করবেন কীভাবে? আর বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যানটা ২৫ শতাংশ!

তাছাড়া ৬৮ শতাংশ সরকারি স্কুল স্টাডি মেটারিয়াল পাঠায়নি বলে দাবি করা হয়েছে এই রিপোর্টে। এবং ৬৬ শতাংশ বেসরকারি স্কুল স্টাডি মেটারিয়াল পাঠায়নি তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের। এমনকি ৪৫ শতাংশ পড়ুয়া বাড়ি থেকে পড়াশোনার কোনও সাহায্যই পায়নি।

এসইআর ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওড়িশায় ১৫-১৬ বছর বয়সীদের ড্রপ আউট সবচেয়ে বেশি (২৭.৪ শতাংশ) বাংলায় ৬.২ শতাংশ। জাতীয় পরিসংখ্যান ১৯ শতাংশ। ২০১৮ সালের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় স্কুলিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে ভারত। গড় স্কুলিং নরওয়ে যেখানে ১২ বছর ৬ মাস, আমেরিকায় ১৩ বছর ৪ মাস, চিনে ৭ বছর ৯ মাস এবং ভারতে ৬ বছর ৫ মাস। আর এনএসএসও ২০১৮-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮৪.৯ শতাংশ পড়ুয়ার কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধাই নেই। ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ৭১.৭ শতাংশ পড়ুয়ার। আরও পড়ুন: অনুপাত বৈষম্য: পড়ুয়া আছে শিক্ষক নেই, কোথাও ছাত্রছাত্রীর ৬ গুণ শিক্ষক! রিপোর্টে চাঞ্চল্য