Dilip Ghosh on TMC Candidate List Clash: প্রার্থী তালিকা নিয়ে ঘাসফুলে ‘মুষলপর্ব’, ‘শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়া’, কটাক্ষ দিলীপের
Municipal Elections 2022: বিরোধীরা অবশ্য বলছেন তৃণমূল কার্যত অভিষেক-মমতা এই দুই শিবিরে বিভক্ত। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
কলকাতা: নেত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বা তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে যে ‘সম্পর্ক’ তা দলীয় বিষয় নয় বলেই নিজেই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, প্রার্থীতালিকা নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ঘোষিত প্রার্থীতালিকাই চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সোমবারই, পুরভোটে দলের সমন্বয়কারী নেতাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় দলের অন্য নেতাদের নাম থাকলেও নেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। যা নিয়ে ফের আরও বিতর্কের উত্থান হয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন তৃণমূল কার্যত অভিষেক-মমতা এই দুই শিবিরে বিভক্ত। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
দিলীপের কথায়, “তৃণমূলে মুষলপর্ব চলছে। ওদের গোষ্ঠীকোন্দল তো ছিলই, এখন সেটা আরও বাড়ছে। একা সব ভোগ করব, ভোগ করব করলে এরকমই হবে। তৃণমূলে স্পষ্ট, মমতা আর অভিষেক দুই টিম আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। শাশুড়ি-বৌমার যেমন ঝগড়া হয়, তৃণমূলের অবস্থা এখন সেরকম।”
বস্তুত, রাজ্যের সর্বত্র পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসক শিবিরের অন্দরে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। পুরসভার ভোট কার্যত মিনি বিধানসভা ভোটের মতো। তাই সকলেই প্রার্থী হতে চান। কিন্তু দলের পক্ষে সকলকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। তবে সকলে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে ভোটের ময়দানে সমন্বয়ের পথেই কাজ করেন সে আহ্বানও জানান পার্থ। অন্যদিকে, খোদ তৃণমূল নেত্রী স্পষ্টই জানিয়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির নির্ধারিত তালিকাই চূড়ান্ত।
একইসঙ্গে সোমবারই ভোটকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সমন্বয়কারী নেতার নাম ঘোষণা করা হয়। মূলত জেলা সভাপতি ও অন্যান্য পদাধিকারীর সঙ্গে কথা বলে ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবেন এই কোঅর্ডিনেটররা। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্বে পুলক রায়। উত্তর ২৪ পরগনার সকলের সঙ্গে কোঅর্ডিনেট করবেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পার্থ ভৌমিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে শুভাশিস চক্রবর্তী, অরূপ বিশ্বাস। ফিরহাদ হাকিম দেখবেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুর।
কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে সুব্রত বক্সী। ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া মলয় ঘটকের হাতে। আলিপুরদুয়ার দেখবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মলয় ঘটক। জলপাইগুড়িতে থাকবেন সৌরভ চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুরের ভার অজিত মাইতি ও মানস ভুঁইয়্যার হাতে। দক্ষিণ দিনাজপুরে শশী পাঁজা, দার্জিলিয়ে গৌতম দেব, নদিয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায় ও ব্রাত্য বসু।
আর এইসব মিলিয়েই তৃণমূলের অন্দরে দুই পৃথক শিবিরের উত্থান দেখছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের অন্দরেই এখন দুটি গোষ্ঠী। মমতা বনাম অভিষেক। যদিও, তৃণমূল এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেত্রী। মমতাই তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেক মমতারই অধীনস্থ। সাধারণ মানুষ মমতাকে দেখেই তৃণমূলকে ভালবাসেন বলেও দাবি করেছেন অভিষেক। কিন্তু, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে যেভাবে একের পর বিক্ষোভের ছবি সামনে এসেছে তাতে প্রশ্ন থাকছেই।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা