Maganbhai Solanki: গোঁফ রাখলেই ভাতা! এই দাবিতেই ভোটের ময়দানে এই ৫ ফুটের গোঁফওয়ালা নির্দল প্রার্থী
Gujarat's Maganbhai Solanki: তাঁর গোঁফের দৈর্ঘ ৫ ফুট। গোঁফের রক্ষণাবেক্ষণের ভাতার দাবিতে ভোটে লড়ছেন গুজরাটের এই প্রাক্তন সেনা কর্মী।
আহমেদাবাদ: দুই হাত ছড়িয়ে ধরতে হয় তাঁর গোঁফ। কারণ, মগনভাই সোলাঙ্কির গোঁফের দৈর্ঘ প্রায় পাঁচ ফুট! এই গোঁফই তাঁর অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং নির্বাচনী প্রচারের প্রধান হাতিয়ারও বটে। গুজরাটের সবরকাঁথা জেলার হিম্মতনগর আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই ৫৭ বছর বয়সী প্রাক্তন সেনা কর্মী। তাঁর একটাই দাবি, গোঁফের জন্য ভাতা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেছেন, “যারা যারা বড় গোঁফ রাখবে, সরকারের উচিত সেই গোঁফের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাঁকে কিছু অর্থ প্রদান করা।”
কেন এমন অদ্ভূত দাবি? ২০১২ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছিলেন। মগনভাই সোলাঙ্কি বলেছেন, “সেনাবাহিনীতে, আমি আমার গোঁফের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ ভাতা পেতাম। আমার রেজিমেন্টে আমি ‘মুচওয়ালা’ নামে পরিচিত ছিলাম। আমার গোঁফ আমার গর্ব। এটাই আমাকে ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে দেয়।” ভোটে জিতলে তিনি রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করবেন এমন এক আইন আনতে যা গুজরাটের সব যুবকদের গোঁফ বাড়াতে অনুপ্রাণিত করবে।
হিম্মতনগর আসন বিজেপির গড় হিসেবে পরিচিত। মগনভাই সোলাঙ্কি জানেন, এই আসনে জেতার বিশেষ সুযোগ নেই। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি ভালবাসেন। তাই পরাজিত হবেন জেনেও ২০১৭ সাল থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। মগনভাই বলেছেন, “২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমি বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী ছিলাম। হেরে গিয়েছিলাম, কিন্তু হাল ছাড়িনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, আমি নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। এবারও আমি নির্দল হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।”
মগনভাই জানিয়েছেন, সেনাকর্মী হিসেবে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে তিনি কাজ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবসময় তাঁর গোঁফের প্রশংসা করেছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়ও তিনি দেখেছেন তাঁর গোঁফ দেখে মানুষ মজা পায়। শিশুরা গোঁফটি ধরতে চায়, তরুণরা পরামর্শ চায় কীভাবে এমন গোঁফ রাখা যায়। তবে শুধু গোঁফ ভাতা নয়, নির্বাচিত হলে মগনভাই সোলাঙ্কি প্রাক্তন সেনাকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যাগুলিও সরকারের সামনে তুলে ধরতে চান।