লখিমপুর খেরিই হবে আন্দোলনের উৎসস্থল:
সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, লখিমপুর খেরিতেই স্থায়ীভাবে মোর্চা বা আন্দোলনস্থল তৈরি করা হবে। সেখান থেকেই “মিশন ইউপি” কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে “নো ভোট টু বিজেপি”র ডাক দেওয়া হয়েছিল, একইভাবে উত্তর প্রদেশেও বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হবে।
কৃষক আন্দোলন ২.০:
কৃষক আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। ওই দিনটিকে “বিশ্বাসঘাতকতার দিন” হিসাবে পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই দেশজুড়ে প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে বিক্ষোভ দেখাবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। শনিবার সিংঘু সীমান্তে সংযুক্ত কিসান মোর্চার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে ইতি টানার পর সরকার কতটা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, তা পর্যালোচনা করার জন্যই ওই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা যুধবীর সিং বলেন, “কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদানের জন্য কোনও কমিটিও গঠন করেনি, আমাদের কাছেও আসেনি। কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্য়াহারের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ সরকারও কোনও পদক্ষেপ করেনি। এছাড়া লখিমপুর খেরি কাণ্ডে সিট রিপোর্টে ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট উল্লেখ করা হলেও, সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে পদ থেকে সরানো বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এই অভিযোগ এনে সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, তারা ৩১ জানুয়ারি দিনটিকে বিশ্বাসঘাতকতা দিবস হিসাবে পালন করবে। এছাড়া ২১ জানুয়ারি থেকেই লখিমপুর খেরিতে আন্দোলন শুরু হবে। সেখানে ৩-৪ দিনে সমস্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা ও কথা বলবেন তারা। এরপরই আন্দোলনের পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনা করা হবে।