ভোটের প্রচার কি এ বার অনলাইনে? সিদ্ধান্ত নিতে সর্বদল বৈঠক ডাকল কমিশন

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রচারে ক্ষেত্রে কমিশনের কোভিড গাইডলাইন মানতেই হবে। একই সঙ্গে দূরত্ববিধি এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।

ভোটের প্রচার কি এ বার অনলাইনে? সিদ্ধান্ত নিতে সর্বদল বৈঠক ডাকল কমিশন
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2021 | 6:29 PM

কলকাতা: রাজ্যে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের মধ্যেও নির্বাচনী প্রচারে জমায়েত বা সভার ভিড়ে রাশ টানা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার যার শুনানি করতে গিয়ে কড়া রায়দান করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রচারে ক্ষেত্রে কমিশনের কোভিড গাইডলাইন মানতেই হবে। একই সঙ্গে দূরত্ববিধি এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি কীভাবে পালন করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করতে এ বার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।

সূত্রের খবর, নির্বাচনের প্রচার এ বার কীভাবে করা সম্ভব তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আগামী ১৬ এপ্রিল সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কমিশন সূত্র জানা গিয়েছে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের একজন প্রতিনিধি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ১৬ এপ্রিল দুপুর দু’টোর সময় এই বৈঠক হবে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখেই যে কোনও রাজনৈতিক দলের মাত্র একজন প্রতিনিধিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে।

একদিনে যখন দেশজুড়ে সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, তখন নির্বাচনী প্রচারের কেন রাশ টানা হবে না এই প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। গতকাল হাইকোর্টের পক্ষ থেকে যে রায় দেওয়া হয় সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, প্রচারে কোভিড বিধি পালন হচ্ছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে জন্য যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হবে জেলাশাসক এবং রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে। যদি কোথাও করোনা বিধি ভঙ্গ হয়, তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন জেলাশাসক ও রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক।

আরও পড়ুন: ভোটবঙ্গে জমায়েতে লাগাম টানতে কড়া হাইকোর্ট, মানতেই হবে করোনা বিধি

হাইকোর্টের এই কড়া রায়ের পরই তৎপর হয়েছে রাজ্য কমিশনের দফতর। তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের। এ দিন সমস্ত দলের সভাপতিদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি দিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল কমিশনের দফতরে হাজির থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে বাকি চার দফার ভোটে পরিস্থিতি যাতে আরও শোচনীয় না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকের ফলে নতুন করে প্রশ্ন উস্কে গিয়েছে, তবে কি এ বার ভার্চুয়াল প্রচারের পথে হাঁটা হতে পারে?

আরও পড়ুন: পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, শীতলকুচি-কাণ্ডের পর পদক্ষেপ কমিশনের