Municipal Elections : প্রচার-বিধি আরও শিথিল! ৫০০ জনকে নিয়ে করা যাবে সমাবেশ
West Bengal State Election Commission: কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রচারের ক্ষেত্রে সমাবেশে ৫০০ জন থাকতে পারবেন। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ২৫০ জন কর্মী ও সমর্থককে নিয়ে সমাবেশ করার অনুমতি ছিল।
কলকাতা : সামনেই পুরভোট (Municipal Elections 2022)। ১২ ফেব্রুয়ারি চার পুরনিগমের নির্বাচন রয়েছে। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার নির্বাচন। তার আগে ১০৮ পুরসভার ভোট নিয়ে বুধবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কমিশন (State Election Commission)। বৈঠকের পর কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রচারের ক্ষেত্রে সমাবেশে ৫০০ জন থাকতে পারবেন। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ২৫০ জন কর্মী ও সমর্থককে নিয়ে সমাবেশ করার অনুমতি ছিল। এবার তা বাড়িয়ে ৫০০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশনের সর্বদল বৈঠক শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তাপস রায় বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য যা করণীয় তা করতে হবে কমিশনকে। প্রচারের সময় একঘণ্টা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। গননা নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত আমরা মানব।”
এদিকে বুধবারের সর্বদল বৈঠক শেষে বাম নেতা রবীন দেব বলেন, “২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট। এত শেষ মুহূর্তে কেন? চারটি ভোটের সহ ১০৮ নির্বাচন একই দিনে গণনা হোক। ভোটার তালিকার উপর নির্ভর করে কেন ভোট নয়? তারকেশ্বর পুরসভায় বেশ কিছু ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তা দেখতে হবে কমিশনকে। পোলিং এজেন্ট সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের হতে হবে। আইন শৃঙ্খলার জন্য কেন্দ্রীয় ভিত্তিতে বৈঠক হোক। সময়সীমা ৮-১০ টা বর্ধিত হোক। প্রচারের জন্য সবাইকে সময় দিতে হবে। গননার দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। রিপোলিংয়ের সুযোগ দেয়নি। এটা বেআইনি। বালি কোথায় গেল? হাওড়ার ভোটের ঘোষণা কেন নয়?” বৈঠক শেষে বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র বলেন, “এই নির্বাচন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আদালতের থেকে ছয় সপ্তাহ পরে বলা হয়েছিল। সেটা মানা হয়নি। আদালতের কথা মানা হয়নি। তাই এই মুহূর্তে নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। কোভিডের জন্য নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।”
বুধবারের সর্বদল বৈঠকে বিজেপির তরফে উপস্থিত ছিলেন শিশির বাজোরিয়া। তিনি বলেন, “১০৮ পুরসভার ভোট চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক। অন্যান্য রাজ্যে একসঙ্গে গণনা হচ্ছে।” এর পাশাপাশি পুনর্গণনার জন্য কেন সময় নয়, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বুথ নয়, ওয়ার্ড ভিত্তিক এজেন্ট হোক। সেই সঙ্গে সাইলেন্স পিরিয়ডের সময় ৪৮ ঘণ্টা হোক।” এদিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলও প্রশ্ন তোলেন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, “প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। কমিশন কী করছে? কলকাতার অভিযোগও নিষ্পত্তি হয়নি।”
আরও পড়ুন : Governor on Mamata Banerjee: ‘আইন ভেঙেছি প্রমাণ করলে ইস্তফা দেব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যপালের