যশপাল শর্মার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ ‘৮৩’ ছবির অনস্ক্রিন ‘যশপাল’ যতীন শর্নার
যতীন বলেন, "নিজের টিমের কাছে বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া ছিলেন যশপালজি। আমাদের কোচ বলবিন্দর সিং সান্ধুকে ফোন করতেন। জানতে চাইতেন, কবে আমরা শুটিং করব। জিজ্ঞেস করতেন, আমি ওঁর রোলটা ঠিক মতো করছি কিনা।"
মঙ্গলবারের সকাল। লুধিয়ানার শর্মা পরিবারের কাছে মোটেই ভাল দিন নয়। তাঁদের ও তাঁর অগুনতি ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটার অন্যতম নক্ষত্র যশপাল শর্মা। মঙ্গলবার (১৩.০৭.২০২১) সকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর। কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ১৯৮৩’র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতেন যশপালরা। প্রিয় সঙ্গীকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ ৮৩-এর টিম।
সেই সঙ্গে শোকস্তব্ধ ‘৮৩’ ছবির শিল্পী ও কলীকুশলীরা। কপিল দেবের জীবন ও ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ঐতিহাসিক কাহিনি নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছেন কবীর খান। মুক্তির অপেক্ষায় ছবি। ছবিটি দেখতে চেয়েছিলেন যশপাল। তাঁর সেই ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল। ছবিতে যশপালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যতীন শর্না। শোকপ্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “আজকের সকালটা খুব খারাপ। আমার মতো আরও হাজার হাজার মানুষের কাছে খুব দুঃখজনক দিন। যশপালজি চলে গেলেন। খবরটা পেয়েই আমাদের ছবির পরিচালক কবীর খান আমাকে ফোন করেছিলেন। কপিল দেবের কন্যা ফোন করেছিলেন। প্রত্যেকেই আমরা হতবাক।”
View this post on Instagram
ছবির প্রস্তুতির সময় যশপাল নিজে এসেছিলেন দেখা করতে। ক্রিকেট কোর্টে অভিনেতাদের অনুশীলন দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় যতীনের। পরবর্তীকালে আরও কিছু টিপস নিতে তাঁর সঙ্গে ফের দেখাও করতে যান যতীন। যশপালই তাঁকে সঠিক ভাবভঙ্গী শিখিয়ে ছিলেন। যশপালের সঙ্গে কিছু ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করেছেন যতীন। তিনি আরও বলেন, “নিজের টিমের কাছে বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া ছিলেন যশপালজি। আমাদের কোচ বলবিন্দর সিং সান্ধুকে ফোন করতেন। জানতে চাইতেন, কবে আমরা শুটিং করব। জিজ্ঞেস করতেন, আমি ওঁর রোলটা ঠিক মতো করছি কিনা।”
অতিমারি না হলে এতদিনে ‘৮৩’ ছবিটা দেখেই ফেলতেন যশপাল। কিন্তু তা আর হল কই? কিছু স্বপ্ন সত্যি অসম্পূর্ণই থেকে যায়!