আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল, ভাবছিলাম পাইলট হব: মনীশ বহেল
১৯৮৯ সালে সবচেয়ে সর্বাধিক প্রফিটমেকিং ফিল্ম ছিল ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’।
‘বেকারার’ (১৯৮৩) ছবিতে মনীশ বহেলের (Mohnish Bahl)অভিনয় জীবন শুরু করেন। তবে সে ছবি একেবার চলেনি। বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তারপর মনীশ যা ছবি করছেন তা সাড়া ফেলতে পারেনি একেবারে। তবে পরের দিকে সলমন খান অভিনীত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছিল তাঁর জীবনে টার্নিং পয়েন্ট। সলমন খান না থাকলে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে একেবারে ফুল স্টপ পড়ে যেত বলে স্বীকারও করেন অভিনেতা।
এমনও হয় মনীশ ঠিক করেন সব ছেড়েছুড়ে তিনি পাইলট হবেন।
View this post on Instagram
এক সাক্ষাৎকারে মনীশ জানান,”যখন আমি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ শুরু করি তখন আমি আমার কেরিয়ার শুধু শুরু করিনি, শেষও করে ফেলেছি। ফ্লপ ছবিগুলোর পর ভাবি আমি পাইলট হব। কমার্শিয়াল ফ্লাইয়িং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছিলাম। ঠিক সেময়ে সলমনের সঙ্গে আলাপ হল। কিছুদিনের মধ্যে বেশ ভাল বন্ধুও হয়ে উঠল সলমন। ও নিচেও ফিল্ম ব্যবসায় ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল। ঠিক তখনই ওর কাছে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র অপার আসে। আর সলমন ভিলেনের চরিত্রে আমার নাম রেকমেন্ড করে।”
মনীশ আরও বলেন, “আমি ফ্লপ হিরো ছিলাম, আমার পক্ষে সে সময়ে ভিলেনের চরিত্র করা একটু অদ্ভূতই ছিল। কিন্তু হিরোর চরিত্র করাও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা-ই ভিলেন চরিত্রটিকে কাছে টেনে নিলাম। এবং প্রায় তিরিশ বছর টেনে দিল সেই চরিত্র।”
আমি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির পরিচালক ছিলেন সূরয বারজাতিয়া। সলমন এবং ভাগ্যশ্রী ছিলেম মুখ্য চরিত্রে। মনীশ বহেল ছিলেন ভিলেন চরিত্রে। ১৯৮৯ সালে সবচেয়ে সর্বাধিক প্রফিটমেকিং ফিল্ম ছিল ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’।
View this post on Instagram
‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’, মনীশের ফিল্মি কেরিয়ার একেবারে বদলে দেয়। এরপর তিনি ‘হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যাঁয়’, ‘কহো না পেয়ার হ্যাঁয়’-এর মতো ছবিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন। মনীশ বহেলকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘পানিপত’ ছবিতে।