The Kerala Story: নিষেধাজ্ঞা উঠলেও বঙ্গে ছবিটি চালালেই মিলছে ‘হুমকি’! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছল চিঠি

The Kerala Story: ৮ মে রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিন দু'য়েক আগেই সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাও বাংলার সিনেমার হলে প্রদর্শিত হচ্ছে না এই ছবি। সূত্র বলছে, সিনেমাটি চালাতে গেলেই নাকি একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে হলমালিকদের। আসছে 'বাধা'।

The Kerala Story: নিষেধাজ্ঞা উঠলেও বঙ্গে ছবিটি চালালেই মিলছে 'হুমকি'! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছল চিঠি
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছল চিঠি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 8:05 PM

৮ মে রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিন দু’য়েক আগেই সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাও বাংলার সিনেমার হলে প্রদর্শিত হচ্ছে না এই ছবি। সূত্র বলছে, সিনেমাটি চালাতে গেলেই নাকি একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে হলমালিকদের। আসছে ‘বাধা’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হলমালিক জানালেন পড়তে হয়েছে ‘হুমকি’র মুখেও। ছবিটি যাতে বিনা বাধায় পশ্চিমবঙ্গে চলতে পারে, এবার সেই আবেদন নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলাচিঠি লিখলেন ইম্পার এক্সিবিটর বিভাগের চেয়ারপার্সন রতন সাহা। চিঠিতে তিনি লেখেন,””কেরালা Story ” সিনেমা টা আমি রিলিজ করেছি। আমি আপনার বিরুদ্ধে একটা ও প্রতিবাদ করিনি কারণ ছবিটা আমরা রিলিজ করেছি, সবাই বলবে আমাদের স্বার্থ জড়িত আছে। তাই চুপচাপ ছিলাম। ইমপার পক্ষ থেকে ই আপনাকে জানানোর উচিৎ ছিল। কিন্তু কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি।”

এখানেই না থেমে তিনি আরও যোগ করেন, “বর্তমানে সিনেমা হলে দর্শক আসছে না। সিনেমা হলের করুন অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ও কেরালা স্টোরি ছবিটা তিন দিনের বিক্রি ভালই ছিল। অনেক দিন পর পর একটা ছবি আসে যার বিক্রির টাকা দিয়ে আবার এক দু মাস সিনেমা হলের মালিকগন অক্সিজেন পেয়ে যায়। তাই আপনার কাছে একান্ত অনুরোধ এই ছবিটা পশ্চিম বঙ্গের চালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। সিনেমা হলের মালিকদের স্বার্থে। আমার লাভের দরকার নেই। এই ছবিটা চালিয়ে যে কমিশন পাব সব টায় দান করে দেবো। সিনেমা শিল্প বাঁচানোর জন্যে ছোট্ট প্রচেষ্টা।” প্রশ্ন হল, সুপ্রিম কোর্টের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রীকে ছবিটিকে চালানোর জন্য আলাদা অনুরোধ? টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল, এই সিনেমাটির ডিস্ট্রিবিউটার শতদীপ সাহা (রতন সাহার পুত্র)র সঙ্গেও। তিনি বলেন, “ছবিটি যে মুহূর্তে চালাতে যাচ্ছেন হল মালিকেরা সেই মুহূর্তে একাধিক বাধা আসছে। এত ভাল ব্যবসা করছিল ছবিটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছুতেই চালানো যাচ্ছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী যদি লিখিত বা মৌখিক ভাবে কিছু একটা বলেন তাহলে হল মালিকদেরও আর ভয় পেতে হয় না। সেই কারণেই এই আবেদন রাখা হয়েছে।” আমরা যোগাযোগ করেছিলেন ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তের সঙ্গেও। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছিল এই ছবি যে সিনেমা হলগুলিতে না চলে, তা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ এসেছে। এবার বাকিটা হল মালিকদের সিদ্ধান্ত।” তিনি এও জানান,রতন সাহা যে চিঠিটি পাঠিয়েছে তা তিনি ব্যক্তিগত ভাবে পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে গিয়েছেন ছবিটির পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও নায়িকা আদাহ শর্মা। সেখানেও সুদীপ্ত ছবিটিকে ঘিরে তাঁর হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ভেবেছিলেন কলকাতায় এসে হল ভিজিট করবেন। কিন্তু কোনও হলেই নেই ছবি! অন্যদিকে প্রযোজক বিপুল শর্মাও অভিযোগ করেছিলেন ভয় দেখানোর। কারা দেখাচ্ছে ভয়? সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলেও কেন হলগুলিতে ‘ব্রাত্য’ ছবিটি? প্রশ্ন অনেক। উত্তর যদিও এখনও অজানা।