Dada Saheb Phalke Awards: কে ছিলেন দাদাসাহেব ফালকে? কেন তাঁকে নিয়ে আজ মাতোয়ারা মুম্বই?

Dada Saheb Phalke Awards: চলচ্চিত্র দুনিয়ায় সফলতার জন্য প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে এখানেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না 'দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফাউন্ডেশনের'। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারই তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। ২০১৮ সালে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার ও মণীষা কৈরালার মতো ব্যক্তিত্ব। শুধু অংশ নেওয়াই নয়, সম্মাননিতও হয়েছিলেন তাঁরা।

Dada Saheb Phalke Awards: কে ছিলেন দাদাসাহেব ফালকে? কেন তাঁকে নিয়ে আজ মাতোয়ারা মুম্বই?
কেন তাঁকে নিয়ে আজ মাতোয়ারা মুম্বই?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 7:18 PM

মুম্বই জুড়ে আজ আলোর রোশনাই। সেজে উঠেছে মুকেশ পটেল অডিটোরিয়াম। সেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ বিতরণী অনুষ্ঠান। সন্ধে ছ’টা থেকে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছে এই মেগা ইভেন্টের। সামিল হয়েছেন বলিউডের নামজাদারা। চলচ্চিত্র দুনিয়ায় সফলতার জন্য প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে এখানেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না ‘দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফাউন্ডেশনের’। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারই তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। ২০১৮ সালে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার ও মণীষা কৈরালার মতো ব্যক্তিত্ব। শুধু অংশ নেওয়াই নয়, সম্মাননিতও হয়েছিলেন তাঁরা।

শুধু কি তাই? ২০১৯ সালে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন খোদ শাহরুখ খানও। তিনি পান শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। প্রশ্ন হল, কারা নির্বাচন করেন এই শ্রেষ্ঠত্ব? কারা রয়েছেন জুরি বোর্ডে? জুরি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে পরিচালক আব্বাস মস্তান থেকে আনিস বাজমি, ডেভিড ধাওয়ান, শচীন পিলগাঁওকারের মতো ব্যক্তিত্ব। তবে শুধু সেরা ছবি অথবা সেরা অভিনেতা অথবা অভিনেত্রীই নয়, দেওয়া হয় লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অর্থাৎ সারাজীবন কাজ করার জন্য শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কারও। উদ্দেশ্য একটাই সারাজীবন নিজের সেরাটা দেওয়ার স্বীকৃতি, বলিউডকে এক ছন্দে বাঁধার এক আন্তরিক প্রকাশ।

কে ছিলেন দাদাসাহেব ফালকে? কেন প্রতি বছর তাঁকে নিবেদন করেই আয়োজিত হয় মেগা ইভেন্ট? ভারতীয় সিনেমার জনক তিনি। জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৭০ সালে। ধুন্দিরাজ গোবিন্দ ফালকে এই নাম নিয়েই জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য হয়ে ওঠেন আমজনতার ‘দাদাসাহেব’। নাসিকের এক মরাঠি পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। পরিবার ছিল নিম্ব মধ্যবিত্ত। সাত জন ভাইবোন, বাবা-মা মিলিয়ে মোট ৯ জনের সংসার। চালাতেন ছাপাখানা, কিন্তু লক্ষ্য ছিল অন্য। ১৯১৩ সালে তিনি তৈরি করেন ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ নামক এক চলচ্চিত্র, যা ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র। এই সূত্রপাত। এরপর প্রায় ২৪ বছর ধরে প্রায় ৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ‘সত্যবান সাবিত্রী’, ‘সেতু বন্ধন’, ‘শ্রী কৃষ্ণ জন্ম’সহ অন্যান্য। তিনি নেই, কিন্তু রয়ে গিয়েছেন তাঁর উত্তরসূরীরা। আর তাঁদেরই স্বীকৃতি জানাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। সেরার সেরা কে হবেন, এখন সেটাই দেখার।ভি