পিতা-পুত্রের যুগলবন্দী! কন্ঠে শচীন দেব, সরোদে ছেলে রাহুল দেব
তখনও গ্রামাফোন রেকর্ডের ওপর এইচএমভির পুরনো লোগো । এখনও সেপিয়া টোনে উজ্জ্বল। গ্রামাফোনের ওপরে ছাপানো লেখা শিল্পী - শচীন দেব বর্মন।সুর - শিল্পী । সরোদ - রাহুল দেব বর্মন।
প্রীতম দে: বাপকা বেটা । যোগ্য পুত্র। শচীনদেব এবং রাহুল দেব। দু’জনেই জিনিয়াস। দুজনেই গেয়েছেন । দুজনেই বাজিয়েছেন । সুরের অলরাউন্ডার। কিন্তু পিতা-পুত্রের যুগলবন্দী কখনও শুনেছেন কি ? ইতিহাসের সে দুর্লভ রেকর্ড অমিত গুহর সংগ্রহে রয়েছে ।
তখনও গ্রামাফোন রেকর্ডের ওপর এইচএমভির পুরনো লোগো । এখনও সেপিয়া টোনে উজ্জ্বল। গ্রামাফোনের ওপরে ছাপানো লেখা শিল্পী – শচীন দেব বর্মন।সুর – শিল্পী । সরোদ – রাহুল দেব বর্মন।রেকর্ডের দু’পিঠে দু’টি গান। এক পিঠে ‘ ঘুম ভুলেছি নিঝুম এ নিশীথে ‘। অন্য পিঠে ‘ও–জানি ভোমরা কেন কথা কয়না ‘। কথা গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার । তবলায় ব্রজেন বিশ্বাস।
আর সরোদ বাজিয়েছিলেন বয়সে নবীন সুরকার-পুত্র রাহুল দেব বর্মন।গানের প্রিলিউড রাহুলের সরোদেই শুরু । সেই সুরেই যেন গানের একটা মুড তৈরি হয়ে যায়। ” গানটি রেকর্ড হয়েছে বহুদিন আগে, চল্লিশের দশক নাগাদ। রাহুল দেব বর্মন তখন খুবই ছোট। কিন্তু বাজনা শুনে বোঝার উপায় নেই শিল্পীর বয়স কত, ” হেসে বললেন সংগ্রাহক অমিত গুহ। এখন এই গ্রামোফোন চালানো খুব ঝুঁকির ব্যাপার। বিশেষভাবে তৈরি করা অমিত বাবুর গ্রামোফোনে এখনও বেজে ওঠে বাপ-ব্যাটার সেই পুরনো যুগলবন্দী।