তৃতীয় বিয়ের পর ফের ‘ত্রিকোণ প্রেম’? কাঞ্চন-বিতর্কে যেন নয়া মোচড়
Kanchan Mullick: মিম মেকাররা নানা ধরনের মিম তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন বিবিধ অ্যাকাউন্ট এবং পেজ থেকে। সেই মিমের একটিতেই সম্প্রতি উঠে এসেছে উক্ত মিমটি, যাতে স্পষ্ট ছাপ রয়েছে জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’র অনুকরণের। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়-শৈবাল বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একসময়কার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম ‘শ্রীময়ী’। দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে থাকার সময় থেকেই কাঞ্চনের বৈবাহিক জীবনে আগমন ঘটেছিল শ্রীময়ীর। সাম্প্রতিক এই মিমটিতে যে সিরিয়ালের (‘শ্রীময়ী’) প্রত্যক্ষ ছাপ রয়েছে, সেই সিরিয়ালের গল্পেও ছিল 'ত্রিকোণ প্রেমের' স্পষ্ট উল্লেখ।
![তৃতীয় বিয়ের পর ফের 'ত্রিকোণ প্রেম'? কাঞ্চন-বিতর্কে যেন নয়া মোচড় তৃতীয় বিয়ের পর ফের 'ত্রিকোণ প্রেম'? কাঞ্চন-বিতর্কে যেন নয়া মোচড়](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/03/sreemoyee-.jpg?w=1280)
তৃতীয় বিয়ের রিসেপশনের ভেন্যুতে ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষী এবং সাংবাদকর্মীদের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধবার্তা থাকার ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে ধিক্কৃত হয়েছেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। ৬ মার্চ, বুধবারের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। অভিনেতা তথা জন-প্রতিনিধি কাঞ্চন মল্লিকও তাঁর সাফাই দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন ভেন্যু-কর্তৃপক্ষও। এরই মধ্যে কাঞ্চনের তৃতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের একটি মিম শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানের বিতর্কের মাঝেই শ্রীময়ীর এই মিমকে কেন্দ্র করে ফের ব্য়ঙ্গ-বিদ্রূপের ঢল নেমেছে সমাজমাধ্যমে। প্রসঙ্গত কাঞ্চন মল্লিক TV9 বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “শ্রীময়ী আর আমার বিয়েকে কেন্দ্র করে মানুষের কত ক্রিয়েটিভিটি বেরিয়ে এসেছে। আমি তো জানতামই না আমাদের রাজ্যের মানুষের মধ্যে এত শিল্প লুকিয়ে আছে।”
প্রসঙ্গত, কাঞ্চন অনেকদিন থেকেই বডি শেমিংয়ের শিকার। ৫৩ বছর বয়সে এসে (আগের দুই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে) তিন নম্বর বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে নীতিপুলিশি (moral policing)-র ঝড় বয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরও একটি বিষয় আছে। কাঞ্চনের তৃতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ তাঁর চেয়ে বয়সে ২৭ বছরের ছোট। স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের এই ফারাক নিয়ে মারাত্মক ট্রোলিং হয়েছে; এখনও হচ্ছে। মিম মেকাররা নানা ধরনের মিম তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন বিবিধ অ্যাকাউন্ট এবং পেজ থেকে। সেই মিমের একটিতেই সম্প্রতি উঠে এসেছে উক্ত মিমটি, যাতে স্পষ্ট ছাপ রয়েছে জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’র অনুকরণের। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়-শৈবাল বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একসময়কার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম ‘শ্রীময়ী’। দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে থাকার সময় থেকেই কাঞ্চনের বৈবাহিক জীবনে আগমন ঘটেছিল শ্রীময়ীর। সাম্প্রতিক এই মিমটিতে যে সিরিয়ালের (‘শ্রীময়ী’) প্রত্যক্ষ ছাপ রয়েছে, সেই সিরিয়ালের গল্পেও ছিল ‘ত্রিকোণ প্রেমের’ স্পষ্ট উল্লেখ।
শ্রীময়ী (ইন্দ্রাণী হালদার অভিনীত চরিত্র) ছিল সেই ধারাবাহিকের নিপীড়িত গৃহবধূ, যার স্বামী অনিন্দ্য সেনগুপ্ত (সুদীপ মুখোপাধ্য়ায় অভিনীত চরিত্র) পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়েছিলেন জুন আন্টির (ঊষসী চক্রবর্তী অভিনীত চরিত্র) সঙ্গে। কাঞ্চনের ব্যক্তিজীবনেও ঘটে তেমনটাই। তিনিও দ্বিতীয় স্ত্রী ও অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দাম্পত্যে থাকাকালীন শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এই সম্পর্ককে সরাসরি ‘পরকীয়া’ বলে দাগিয়েছিলেন পিঙ্কি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো সাম্প্রতিক এই মিমটিতে রয়েছে তিনটি মুখ: শ্রীময়ী-পিঙ্কি-কাঞ্চন (বাঁ দিক থেকে)। শ্রীময়ী সেখানে ইন্দ্রাণী হালদার অভিনীত চরিত্র শ্রীময়ী। কাঞ্চন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত এবং চর্চিত খলনায়িকা জুন আন্টির মুখে বসানো হয়েছে পিঙ্কিকে। নেটিজ়েনদের একাংশ দুইয়ে-দুইয়ে চার করার চেষ্টা করেছে এই মিম দেখে। সিনেমা, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ় মুক্তির আগে যেমন পোস্টারে লেখা থাকে ‘আসছে’ অথবা ‘মুক্তি আসন্ন’, তেমন ভাবেই এই মিমটিতে লেখা হয়েছে ‘শ্রীময়ী আসছে’। বাস্তব হল, কাঞ্চনের বৈবাহিক জীবনে ইতিমধ্যেই আইনত এসে গিয়েছেন শ্রীময়ী। তাঁর ব্যক্তিজীবনকে কেন্দ্র করে এই ধরনের মিমের আধিপত্য দেখে অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বক্তব্য, “তাঁরা (পড়ুন মিম-মেকাররা) কী সুন্দর মিম তৈরি করেন, ট্রোল করেন। কত সমস ব্য়য় করেছেন তাঁরা আমার জন্য। ভাবুন, একজন মানুষকে গালাগাল করতেও কত সময় ব্যয় করেন তাঁরা। কিন্তু এই মানুষগুলো যদি আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হতে পারতেন, দারুণ হত। ইন্ডাস্ট্রির জন্য ছবি-টবিও তো তৈরি করে ব্যবহার করতেন তাঁরা, কত ভাল হত বলুন তো।”