Kiran Dutta: রাতে এখানে কোথায় একা যেতে ভয় কিরণ দত্তের, শেয়ার করলেন মর্মান্তিক ভিডিয়ো

Viral Video: এ কেমন জায়গার ভিডিয়ো শেয়ার করলেন কিরণ? নিজেই লিখলেন তাঁর এই জায়গায় যেতে রীতিমত গা ছমছম করে, কিন্তু জায়গাটার কাহিনি আপনার মন খারাপ করবেই।

Kiran Dutta: রাতে এখানে কোথায় একা যেতে ভয় কিরণ দত্তের, শেয়ার করলেন মর্মান্তিক ভিডিয়ো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 23, 2023 | 1:02 PM

কিরণ দত্ত, বর্তমানে বাংলার বুকে রমরমিয়ে কাজ করছে এমন কিছু ইউটিউবারের নাম নিতে হয়, তবে এই নাম তার মধ্যে অন্যতম। সকলেই তাঁরে বংগাই বলেই চেনেন। কিরণ যখন স্থির করেছিলেন তিনি ইউটিউব নিয়ে কাজ করবেন, তখন ইউটিউবার বিষয়টা এতটা প্রচলিত ছিল না। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে দেখা যায় কিরণকে বর্তমানে, তবে তাঁর শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না। জোশ টক-এ নিজের কঠিন লড়াইয়ের কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ছোট থেকে ভাল ছাত্র হওয়ার সুবাদে সকলেই আশা করত, কিরণ খুব ভাল রেজাল্ট করে, তাই হয়। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে রেকর্ড নম্বর তাঁর দখলে।

বর্তমানে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। কখনও শেয়ার করে থাকেন তিনি কমিক ভিডিয়ো, কখনও আবার শেয়ার করে থাকেন তিনি নানা জায়গার ভিডিয়ো, কখনও রোস্ট, কখনও আবার বেশ ইন্ফর্মেটিভ। তবে এবার তিনি যে জায়গাটি দেখালেন, তা রীতিমত বিচলিত করল ভক্তদের। মজার ছলে তা ভূতুরে বলে চিহ্নিত করলেও, একটা সময় এটাই ছিল হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর স্থান। ভিডিয়ো দেখে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নেটপাড়ার একাংশ। এভা নষ্ট হচ্ছে জায়গাটি। এটি ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের তৈরি যক্ষা হাসপাতাল।

View this post on Instagram

A post shared by Kiran Dutta (@yourbongguy)

ভিডিয়োটি শেয়ার করে কিরণ লিখলেন, ”এটা ছিল এশিয়ার সবথেকে বড় যক্ষা হাসপাতাল। আজ যেখানে গেলে তোমার ভয়ে কাঁপতে হয়। সাপ, বাদুর কী নেই? ১৯৬১ সালে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় এটি বানিয়েছিলেম। সম্প্রতিতে করোনা যেমন অতিমারীতে পরিণত হয়েছিল, সেইসময় যক্ষা মহামারিতে পরিণত হয়েছিল। সেই রোগের চিকিৎসার জন্যই এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। তখন এই জায়গা ছিল মানুষের ভিড়ে জমজমাট। বর্তমানে সেই জায়গারই ভাঙা দেওয়া, ভাঙা জানালা, তথৈবচ অবস্থা। নষ্ট হয়ে যাওয়া ওষুধ, ফাঁকা বিছানা নিয়ে এই রাজপ্রাসাদ বর্তমানে ধ্বংসস্তুপ। এই হাসপাতাল সেই সময় বাঁচিয়েছিল বহু প্রাণ। কত আবেগ জড়িয়ে এই হাসপাতাল। দেয়ালের কান আছে শুনেছি, মুখ থাকলে নিশ্চয়ই শুনতাম এইসব গল্প। হয়তো কোনও একদিন এশিয়ার সবথেকে বড় যক্ষা হাসপাতাল আবারও প্রাণ পাবে।”