‘পাগলরা তো উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায়, তাহলে আর কী…’, ট্রোল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মমতাশঙ্কর
শাড়ি বিতর্ক থেকে চুমু বিতর্ক--- প্রতিটি বিষয়েই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন শিল্পী মমতাশঙ্কর। তাঁর মন্তব্য নিয়ে হয়েছে বিস্তর বিতর্কও। গত কয়েক মাসে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ট্রোল হয়েছেন প্রতিটি বিষয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য। সম্প্রতি TV9 বাংলাকে এক সাক্ষাত্কারে চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়ে দিলেন নিজের মতামত।
শাড়ি বিতর্ক থেকে চুমু বিতর্ক— প্রতিটি বিষয়েই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন শিল্পী মমতাশঙ্কর। তাঁর মন্তব্য নিয়ে হয়েছে বিস্তর বিতর্কও। গত কয়েক মাসে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ট্রোল হয়েছেন প্রতিটি বিষয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য। সম্প্রতি TV9 বাংলাকে এক সাক্ষাত্কারে চাঁচাছোলা ভাষায় জানিয়ে দিলেন নিজের মতামত। তিনি বলেন, “আমি কাটাকাটা ভাষায় কথা বলেছি বলে আমায় নিয়ে ট্রোল হচ্ছে। আমি তো কারও উপর চাপিয়ে দিচ্ছি না যে এমন পোশাক পরতে হবে। অন্যদের মতো আমারও কথা বলার স্বাধীনতা আছে। নিজের স্বার্থে কিছু বলছি না।”
অভিনেত্রীর কথায়, কাউকে মডার্ন দেখানোর জন্য জনসমক্ষে ধূমপান করাটা কোনও গর্বের কথা নয়। এটা বোকামি। তিনি বলেন, “রাস্তায় অস্বাভাবিক কিছু দেখলে আমাদের চোখ আপনা থেকেই চলে যায়। ভুল জিনিসগুলো দিয়ে নিজেকে প্রগতিশীল প্রমাণ করা যায় না। খোলামেলা পোশাক পরলে আমাদের মেয়েদেরই চো। চলে যায়। আরে পাগলরা তো জামাকাপড় খুলেই রাস্তায় ঘুরছে। তাহলে সেই মানুষটার সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মধ্য়ে কী পার্থক্য রইল!মেয়ে হিসাবে নিজেদের একটা মান-সম্মান বোধ থাকা প্রয়োজন। প্রতিটি নারীর তা ধরে রাখার প্রয়োজন। ”
মমতাশঙ্করের দাবি,প্রকাশ্যে ধূমপান করে বা শাড়িকে অন্যরকম করে পরলেই মডার্ন বলা যায় না। নিজের চলা-ফেরা, শিক্ষা-দীক্ষাতেই প্রমাণ মেলে কে কতটা প্রগতিশীল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চুমু বিতর্কের সময় কী মন্তব্য করেছিলেন মমতাশঙ্কর? তিনি বলেছিলেন, “আমি বিষয়টাকে মোটেই ভালো চোখে দেখছি না। আমি এর বিরুদ্ধে। কারণ এরপর তো সমস্ত কিছু করার সাহস হয়ে যাবে। স্থান, কাল, পাত্রের কোনও জ্ঞান থাকবে না? জন্তুরাও বোধহয় আমাদের থেকে অনেক ভালো। এই জন্যই তো আজকাল এসব হচ্ছে, এত রেপ হচ্ছে। বাচ্চাদের হাতে ফোন যাচ্ছে, ছোট থেকেই ওরা এসব দেখছে। ওদের মূল্যবোধ কোথায় যাবে!”