Nawazuddin Siddiqui: ‘মাসে দশ লক্ষ হাতখরচ দিই, তাও শুধু টাকা টাকা টাকা’, স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নওয়াজ

Nawazuddin Siddiqui: অবশেষ নীরবতা ভাঙলেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী এতদিন ধরে তাঁর নামে যা যা অভিযোগ এনেছেন এক লম্বা বিবৃতির মাধ্যমে সেই সব অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি।

Nawazuddin Siddiqui: 'মাসে দশ লক্ষ হাতখরচ দিই, তাও শুধু টাকা টাকা টাকা', স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নওয়াজ
স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নওয়াজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 06, 2023 | 5:44 PM

অবশেষ নীরবতা ভাঙলেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী এতদিন ধরে তাঁর নামে যা যা অভিযোগ এনেছেন এক লম্বা বিবৃতির মাধ্যমে সেই সব অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি। এক এক করে সামনে আনলেন মতামত। এমনকি তাঁর দাবি আলিয়া তাঁর স্ত্রী-ই নন, তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। নওয়াজের কথায় এ মোটেও অভিযোগ নয়, বরং নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করা। কী লিখেছেন, পড়ুন তাঁর জবানি…

১। প্রথমত, আমি এবং আলিয়া একসঙ্গে থাকি না বহু বছর ধরে। আমরা বিবাহ বিচ্ছিন্ন। তবে হ্যাঁ সন্তানদের জন্য আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল।

২। কেউ কি বলতে পারেন, কেন আমার সন্তানেরা ভারতে রয়েছে এবং ৪৫ দিন ধরে স্কুলে যাচ্ছে না? ওদিকে দুবাইয়ে ওদের স্কুল থেকে আমার কাছে প্রতিদিন চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

৩। গত দু’বছর ধর আমি আলিয়াকে মাসে ১০ লক্ষ টাকা হাতখরচা দিছি। এর আগে ৫ থেকে ৭ লক্ষ দিতাম। এর মধ্যে কিন্তু আমার সন্তানদের স্কুলের মাইনে, যাতায়াতের খরচ ও অন্যান্য খরচা অন্তর্ভুক্ত নয়। এ ছাড়াও ওর তিনটে ছবির জন্য প্রায় এক কোটির উপর বিনিয়োগও করেছি আমি। দামী গাড়ি দিয়েছি সন্তানদের। কিন্তু ও সব বেচে দিয়ে নিজের উপর খরচা করেছে।

৪। এ ছাড়াও মুম্বইয়ের ভারসোভা অঞ্চলে আমি আমার সন্তানদের জন্য সি-ফেসিং এক দামি বাড়িও কিনে দিয়েছিলাম। যেহেতু আমার সন্তানেরা ছোট তাই আলিয়াকে ওই ফ্ল্যাটের সহ-মালিকানা দিয়েছিলাম আমি। ওখানেই থাকছিল ও। ওর খালি টাকা চাই। আর সেই কারণে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে গিয়েছে। আগেও এমনটা করেছে। ওর শুধু টাকাই চাই।

স্ত্রী আলিয়া অভিযোগ এনেছিলেন, বাড়ি থেকে নাকি তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে ও তাঁর দুই সন্তানকে। যদিও নওয়াজে দাবি দুবাই থেকে যতবার ভারতে এসেছে তাঁর দুই সন্তান ততবারই ঠাকুমার কাছেই থেকেছে। তিনি যোগ করেন, “সব শেষে এটাই বলতে চাই, কোনও বাবা-মা’ই চান না তাঁদের ছেলেমেয়র পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আজ যা করছি সব ওদের জন্য। ওদের খুব ভালবাসি। ওদের জন্য সব করতে পারি। এখনও পর্যন্ত সব মামলা জিতেছি, ভারতের আইনি ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” যদিও এখনও এই পাল্টা উত্তর দেননি আলিয়া। জল গড়ায় কোনদিকে এখন সেটাই দেখার।