Neena Gupta: ভিভ রিচার্ডসের ঔরসজাত কন্যা মাসাবাকে কেন অভিনয় করতে দেননি নীনা?

Neena Gupta: ক্ষমা চাইলেন নীনা গুপ্ত। ক্ষমা চাইলেন মেয়ে মাসাবার কাছে। মেয়ে মাসাবাকে শো-বিজের অংশ হতে দেননি তিনি। মেয়ের ইচ্ছে থাকলেও কেন বাধা দিয়েছিলেন মা?

Neena Gupta: ভিভ রিচার্ডসের ঔরসজাত কন্যা মাসাবাকে কেন অভিনয় করতে দেননি নীনা?
বাবার সঙ্গে নীনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2022 | 4:49 PM

ক্ষমা চাইলেন নীনা গুপ্ত। ক্ষমা চাইলেন মেয়ে মাসাবার কাছে। মেয়ে মাসাবাকে শো-বিজের অংশ হতে দেননি তিনি। মেয়ের ইচ্ছে থাকলেও কেন বাধা দিয়েছিলেন মা? নীনার সাফ জবাব, তিনি নাকি বুঝতে পেরেছিলেন মাসাবা যদি অভিনয় করেন তবে কখনও সাফল্য পাবেন না। কেন সফল হবেন না? তা নিয়েও বিশেষ যুক্তি ছিল তাঁর। তাঁর কথায়, “ও যেমন দেখতে তাতে করে আমার মনে হয়েছিল ভারতীয় সেই টিপিকাল হিরোইন ও কিছুতেই হতে পারবে না। ওকে বলেছিলেন শুধু সহ অভিনেতার চরিত্রই ও পাবে। যদি ও সেটা করতে চায়, তবে করুক।” মায়ের ওই কথা শোনার পর অবশ্য আর অভিনয়ে কেরিয়ার তৈরির কথা ভাবেননি মাসাবা। তিনি নামজাদা ফ্যাশন ডিজাইনার।

তবে সম্প্রতি সিরিজ ‘মাসাবা মাসাবা’তে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ওই সিরিজে যদিও তিনিই মুখ্য। এমনকি তাঁর সহজ সরল সাধারণ অভিনয়ের সঙ্গে একাত্ম হতে পেরেছেন দর্শকও। আর সে কারণেই ক্ষমাপ্রার্থী মা নীনা। মা’কে কার্যত মিথ্যে প্রমাণ করেছেন মাসাবা। ভিভ রিচার্ডস ও নীনা গুপ্তের ভালবাসার সন্তান মাসাবা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই লেজেন্ড ও নীনার বিয়ে হয়নি কোনওদিন। এ নিয়ে অবশ্য কোনও অভিযোগই নেই নীনা। একা হাতেই মানুষ করেছেন মাসাবাকে। সম্মুখীন হয়েছেন বহু সমস্যার। ভিভের প্রতি কি ঘৃণা জন্মেছে তাঁর কখনও? নীনার উত্তর, “আমি বিশ্বাস করি কাউকে ভালবাসলে তাঁকে ঘেন্না করা মোটেও সম্ভব নয়। আমি আমার কোনও প্রাক্তনকেই ঘৃণা করিনা। আমি আমার প্রাক্তন স্বামীকেও ঘেন্না করিনা না।”

নীনা যোগ করেছেন, “আমার যদি এতই খারাপ লাগত তবে আমি তাঁর সঙ্গে সন্তানের জন্মই বা দিতাম কেন? আমি কি পাগল?” মায়ের সঙ্গে সহমত মেয়ে মাসাবাও। সাফ জানিয়েছেন, মা কখনওই তাঁর বাবা (ভিভ)-র সঙ্গে মেলামেশায় বাধা দেননি। এমনকি কোনও কারণেই বাবার বিরুদ্ধে বিষিয়ে দেননি মেয়ের মনও। মাসাবার বক্তব্য, “আমার সঙ্গে আমার বাবার সম্পর্ক বেশ ভাল। মা সব সময় আমাকেই আমার সিদ্ধান্ত নিতে দিয়েছে। নিজের বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা দিয়েছে।”