‘আমার অনস্ক্রিনের বেস্ট বাবা ভাস্বর আঙ্কল’, বললেন আয়ুষ, স্মৃতিমেদুর দুই অভিনেতা
Bhaswar Chatterjee: প্রথম ছবিটি ‘মা’ ধারাবাহিকের। যেখানে আয়ুষের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ভাস্বর। সে দিনের স্মৃতি TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেতা।
প্রথম ছবিটা ২০১২-র। আর পরের ছবি ২০২১-এর। মাঝের এতগুলো বছরে বাহ্যিক বদল এসেছে দু’জনেরই। কিন্তু মনের টান একই রয়েছে। একই রয়েছে বন্ধন। তাঁরা অর্থাৎ অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় এবং আয়ুষ দাস। ফেসবুকে পুরনো ছবি শেয়ার করে নস্ট্যালজিক ভাস্বর।
প্রথম ছবিটি ‘মা’ ধারাবাহিকের। যেখানে আয়ুষের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ভাস্বর। সে দিনের স্মৃতি TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেতা। তিনি বলেন, “মা করতেই এসছিল আয়ুষ। তখন ক্লাস টু তে পড়ে। এখন ফার্স্ট ইয়ার। ঝিলিক, বিল্টু, ফুলকি- মানে ওই ধারাবাহিকের সহ বাচ্চাদের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্ব ছিল। আমি আর মহুয়া বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বেরতাম। সাউথ সিটি গিয়ে খাওয়া দাওয়া হল, হয়তো লাঞ্চ করতে বাড়িতে এসছি। আয়ুষও এসেছে সঙ্গে। ও ভাস্বর আঙ্কল ছাড়া চিনত না। ওর সঙ্গে ক্রিকেট, ডামশরাজ খেলা..। ও জীবনে প্রথম ক্যামেরা ফেস করেছে আমার সঙ্গে।”
ঠিক ভাস্বরের মতোই স্মৃতিমেদুর আয়ুষও। ভাস্বরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা একেবারে অন্যরকম, স্বীকার করলেন তিনি। আয়ুষ TV9 বাংলাকে বললেন, “২০২১-এ ১২ বছর কমপ্লিট হবে আমার ইন্ডাস্ট্রিতে। আমার অনস্ক্রিন বাবা হিসেবে এখনও পর্যন্ত বেস্ট ভাস্বর আঙ্কল। খুব কাছের মানুষ। ‘মা’ তে আলাপ। ধীরে ধীরে সম্পর্কটা স্ট্রং হয়। বাড়ি চলে যেতাম। পরেও কোনও শুটিংয়ে দেখা হয়েছে। লাঞ্চ ব্রেকে ভাস্বর আঙ্কেলের বাড়ি চলে গিয়েছি। আমার জীবনে অন্য রকম জায়গা নিয়ে রয়েছে ভাস্বর আঙ্কল।”
২০২১-এ ‘বিক্রম বেতাল’-এর শুটিংয়ে ভাস্বরের সঙ্গে ফের আয়ুষের দেখা হয়েছে সদ্য। দুজনে দুটো আলাদা গল্পে অভিনয় করছেন। এ ছাড়া ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে ‘গোপাল’ এবং ‘ধ্রুবতারা’ ধারাবাহিকের ‘শ্লোক’-এর চরিত্রে অভিনয় করছেন আয়ুষ। ‘কৃষ্ণকলি’তে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছন বলে জানালেন। গত বছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। একটা গোটা বছর ছবির সম্পাদনা সহ বিভিন্ন কাজ শিখেছেন। চলতি বছরে ফিল্ম স্টাডিস নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শুরু করবেন বলে জানালেন আয়ুষ।
তবে ভাস্বরের কাছে এখনও তিনি সে দিনের ছোট্ট গোলগাল আয়ুষ। ভাস্বরের কথায়, “ও খুব ব্যালান্সড বাচ্চা। ওর আপব্রিঙ্গিং খুব ভাল। ইন্ডাস্ট্রির হাওয়া গায়ে লাগেনি এখনও। আমার মনে আছে, পড়াশোনায় ভাল ছিল। কিন্তু অঙ্কে কাঁচা ছিল। ও এলেই আমি বলতাম, একটা গাছে তিনটে বাঁদর। আর একটা গাছে তিনটে বাঁদর। কটা হল? অনেকক্ষণ ভেবে বলত, ১০ টা। আমি বলতাম, কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক… হা হা হা।”