Sabyasachi-Aindrila: নামজাদা পুজোয় জনস্রোত, ‘অখ্যাত’ মণ্ডপেই তৃপ্তি খুঁজেলেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা

তখন মধ্যরাত। অগত্যা হতাশ প্রেমিকাকে নিয়ে ফিরতি পথ ধরতেই থমকে দাঁড়ালেন ওঁরা। অচেনা এক পাড়ার মোড়। সেখানে সংসার নিয়ে এক মণ্ডপে বসে রয়েছেন মা দুর্গা।

Sabyasachi-Aindrila: নামজাদা পুজোয় জনস্রোত, 'অখ্যাত' মণ্ডপেই তৃপ্তি খুঁজেলেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা
সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2021 | 2:58 PM

রাস্তায় জনজোয়ার। একদিকে কলকাতায় বুর্জ খলিফা দেখার উন্মাদনা তো অন্যদিকে ‘ভাগের মা’-এর খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন মানুষ। ঐন্দ্রিলা শর্মা প্রেমিক সব্যসাচীর কাছে বায়না করেছিলেন পুজো দেখবেন। ভয়ে ভয়েই বেরিয়েই বিড়ম্বনা। এর ভিড়!মায়ের মুখ নয়… মানুষের মাথার ভিড়ে মাকে না দেখার যন্ত্রণা নিয়ে ফিরতি পথেই ঘটল এক ঘটনা। তা কী?

সব্যসাচী লিখছেন, “বায়না করেছিল যে পুজোর ছুটিতে আমি বাড়ি যাওয়ার আগে একটা ঠাকুর দেখাতেই হবে। ঐন্দ্রিলার শরীর একটু ভাল থাকাতে, ভয়ে ভয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম দক্ষিণ কলকাতার দুই নামকরা পূজা মণ্ডপে। অজস্র মানুষের মিছিল, ব্যারিকেড আর ‘নো পার্কিং’ এর স্রোতে ঘেমেনেয়ে হতাশ হয়ে বললো “ধুর, বাড়ি নিয়ে চলো, ঠাকুরকেই তো দেখতে পাচ্ছি না।”

তখন মধ্যরাত। অগত্যা হতাশ প্রেমিকাকে নিয়ে ফিরতি পথ ধরতেই থমকে দাঁড়ালেন ওঁরা। অচেনা এক পাড়ার মোড়। সেখানে সংসার নিয়ে এক মণ্ডপে বসে রয়েছেন মা দুর্গা। মন্ডপের সামনে ‘সেরা শারদ সম্মান’-এর পুরস্কার নেই। নেই থিম পুজোর আড়ম্বর। সে পুজো নেহাতই সাদামাঠা। নেহাতই ছিমছাম। সব্যসাচীর কথায়, “অচেনা পাড়ার মোড়ে এই ক্ষুদ্র নামহীন প্যান্ডেলটি দেখে একেবারে সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মধ্যরাতে, মানুষ তো দূরের কথা, কাক পক্ষীও নেই।” ওই নির্জন প্যান্ডেলের মা’র কাছে গিয়ে দাঁড়ালেন দুজন। খুঁজে পেলেন, ‘আটপৌরে সেই মা’কে’। যে মা বাড়ির, বড় কাছের, যেন নিজের চেনা কেউ।

ক্যানসারে আক্রান্ত ঐন্দ্রিলা। বিগত বেশ কিছু মাস ধরে চলছে চিকিৎসা। হয়েছে সার্জারি, কেমো, রেডিয়েশন। আগের থেকে ভাল আছেন। লড়ছেন মা দুর্গার মতোই। এই লড়াইয়ে পাশে রয়েছেন সব্যসাচী। যেমন ছিলেন কালও। নির্জন রাস্তা, সব্যসাচী আর ঐন্দ্রিলার পুজো প্রেমের সাক্ষী থাকলেন আটপৌরে মা।

 

আরও পড়ুন-Yash-Nusrat: যশের জন্মদিনে নুসরতের ভালবাসা প্রকাশ্যে, কী লিখলেন তিনি?