ব্যথা সারতে এক বছর, শুয়ে শুয়েই সব্যসাচীর ‘মুদিখানা জীবন’-এর উপর কড়া নজর ঐন্দ্রিলার

মুদিখানা কেন? সে উত্তর দিয়েছেন সব্যসাচী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা।

ব্যথা সারতে এক বছর, শুয়ে শুয়েই সব্যসাচীর 'মুদিখানা জীবন'-এর উপর কড়া নজর ঐন্দ্রিলার
পাশে রয়েছে সব্যসাচী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2021 | 1:54 PM

সদ্য জটিল অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। তিনি ভাল আছেন। তবে ব্যথা রয়েছে। সারতে লাগবে এক বছর। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর ‘মুদিখানা জীবন’-এর উপর কড়া নজর তাঁর।

মুদিখানা কেন? সে উত্তর দিয়েছেন সব্যসাচী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা। প্রথম প্রথম প্রয়োজনীয় জিনিসের ফর্দ তৈরি থেকে চাল-ডাল কী লাগবে না লাগবে সব বিষয়ে নিজেই এগিয়ে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। এখন শরীর একটু খারাপ। কিন্তু কাজের বিরাম নেই। সব্যসাচী লিখেছেন, “আমায় অত্যন্ত কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে যে লকডাউনের মধ্যে আমার জীবনটা মুদিখানা হয়ে গেছে। আমি নাকি সারাদিন চাল, ডাল, আলু না হলে মুড়ি-বাতাসার হিসাব করি। এদিকে দূরদূরান্তে পুরো টীম নিয়ে খাদ্য সরবরাহ করতে গেলে, শুয়ে শুয়ে লাইভ লোকেশনে কড়া নজর রাখা হয় যে কতদূর পৌছালাম আমরা। ভিডিও কল করে দেখা হয় সবাই খাবার পাচ্ছে কি না…”।

ভাববাচ্যে ঐন্দ্রিলার দিকেই যে ইঙ্গিত ‘বামাক্ষ্যাপা’র তা বোধহয় সহজেই অনুমান করা যায়। সব্যসাচী জানাচ্ছেন, ঐন্দ্রিলা ভাল থাকলেও পেনকিলার ছাড়া ব্যথা বাড়ে তাঁর। নিজে নিজে শুতে পারে তবে তুলে বসিয়ে দিতে হয়। ডাক্তারের নির্দেশ মেনে হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে, ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ব্যায়াম করে নিয়মিত। এখনও বাকি রয়েছে রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি। একটা ধাক্কা সামলে নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা, বাকিগুলিও যে সামলে সে ব্যাপারে নিশ্চিত সব্যসাচী।

আরও পড়ুন:  SSR Case: কী কী ঘটল এক বছরে, কোথায় দাঁড়িয়ে মামলা, সুশান্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা ঘটনাপ্রবাহ

সব্যসাচী অভিনীত ধারাবাহিকটি গত সপ্তাহে চ্যানেল টপার হয়েছে। রয়েছে শুটিংয়ের ব্যস্ততা, রয়েছে ত্রাণ দেওয়ার কাজও। তবে এ সবের মধ্যে ফাঁক পেলেই ছুঁতে যাওয়া ভালবাসার কাছে, ঠিক যেমন এই রবিবারের সন্ধে…সাদা মেঘ, বহুতল আর সাদা-কালোয় ওঁরা… সব্যসাচীর কথায়, “শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়ম করে মুদিখানার ঝাঁপ বন্ধ রেখে, টুক করে কিছুটা সময় সাদা কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে কাটিয়ে নিই আমরা। কাজলা মেঘের মাঝে আলোর দিশা খুঁজি।”