‘শিল্পীরা অসম্ভব কষ্টে রয়েছেন…’, নতুন ধারাবাহিকের শুটিং শুরুর দাবি আর্টিস্ট ফোরামেরও
শিল্পী ও কলাকুশলী এবং তাঁদের পরিবারদের নিয়ে ‘ছিনিমিনি’ খেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে।
নতুন ধারাবাহিকের কাজ আটকেছে ফেডারেশনের চাপে। বন্ধ ‘মনফাগুন’, ‘সর্বজয়া’, ‘ধুলোকণা’ সহ বেশ কিছু নতুন বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং। প্রযোজকদের মধ্যে বেড়েছে অসন্তোষ। এবারে কার্যত প্রযোজকদের পাশে দাঁড়িয়ে নতুন ধারাবাহিক শুরু করার পক্ষে এক বিবৃতি পেশ করল আর্টিস্ট ফোরাম। তাতে বলা হয়েছে, ‘সমস্ত শিল্পী ও কলাকুশলীদের স্বার্থে সিংশিষ্ট সকলের কাছে দাবি তুলছি—অবিলম্বে সমস্ত নতুন ধারাবাহিকের কাজ শুরু হোক। যদি কোনও মতপার্থক্য থাকে তার মীমাংসা হোক আলোচনার টেবিলে—শুটিং ফ্লোরে বন্ধ দরজার প্রেক্ষাপটে নয়। আমাদের শিল্পীরা অসম্ভব কষ্টে রয়েছেন। কেউ অনন্যোপায় হয়ে বাজারে মাছ বিক্রি করছেন, কেউ দেড় বছর কাজের সুযোগ না পেয়ে ডুবে গেছেন মানসিক অবসাদে আবার, কেউ বা ৭০টার বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পর হঠাৎ ঘাড়ের উপর এসে পড়া এই শ্বাসরুদ্ধকর কর্মহীনতা থেকে বাঁচতে নিতে চলেছেন আত্মহননের পথ।‘
শিল্পী ও কলাকুশলী এবং তাঁদের পরিবারদের নিয়ে ‘ছিনিমিনি’ খেলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে। সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সমস্ত নতুন এবং পুরনো ধারাবাহিকের কাজ সুষ্টভাবে চালু করার/রাখার দাবিও তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেডারেশন-প্রোডিউসারস গিল্ড তর্জায় বিগত এক মাস ধরেই উত্তাল টলিপাড়া। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ চক্রবর্তী এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিত্বে প্রোডিউসারস গিল্ড, আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশনের এক সম্মিলিত বৈঠক হয়। সেই মিটিংয়েই ঠিক হয়, তিন বছর ধরে আটকে থাকা মউ চুক্তি নিয়ে ফেডারেশন এবং প্রযোজকদের যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল তা মিটমাট করে নতুন করে গাইডলাইন তৈরি করা হবে। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে এই গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা কার্যকর করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মর্মে আজ সোমবার থেকে ‘মনফাগুন’ ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুদিন আগে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মেসেজ করে বলা হয় নতুন ধারাবাহিকের শুটিংয়ে অংশ নেবেন না টেকনিশিয়ানরা। ফেডারেশনের কাছে টিভিনাইন বাংলার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা বলেন, “পৌনে তিন বছর হয়ে গিয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে যে MOU স্বাক্ষরের কথা বলা হয়েছিল তা হয়নি। একমাস আগেই ফেডারেশন জানিয়েছিল MOU-তে সই না হলে নতুন ধারাবাহিকের অংশ নেবে না ফেডারেশন।” কী রয়েছে এই MOU-য়ে? ফেডারেশনে তরফে জানানো হয়েছে, টেকনিশিয়ানদের ম্যান পাওয়ার কী হবে, বেতন কী হবে ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই লেখা রয়েছে তাতে।
যদিও সোমবার রাতে ফেডারেশনের ফেসবুক পেজ থেকে লেখা হয়—’এবার থেকে গিল্ড বা অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শুধু তাদের সভাপতি বা সম্পাদক নন, বরং তাদের নির্বাচিত কমিটির সকলেই ফেডারেশনের ‘ওয়ার্কিং কমিটি’-র সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে নিজেদের বক্তব্য ও পরামর্শ তুলে ধরতে পারবেন। সকলকে সঙ্গে নিয়েই ফেডারেশন ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে পা বাড়াবে।’