National Film Awards 2022: সিনেমা দেখতে ভিড় হয়নি, সেই ‘অভিযাত্রিক’ই ছিনিয়ে নিল জাতীয় পুরস্কার
Avijatrik: জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে এ বছর সেরা বাংলা ছবির মুকুট ওই ছবিরই। শুধু যে সেরা বাংলা ছবির শিরোপা পেয়েছে তা তো নয়, একই সঙ্গে সেরা চিত্রগ্রাহকও জিতে নিয়ে ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফার সুপ্রতিম ভোল।
ছবি যখন মুক্তি পেয়েছিল তখন করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল এ দেশে। বঙ্গেও ব্যতিক্রম নয়। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসনও ছিল সীমিত। ছবি নিয়ে যে আশা করেছিলেন প্রযোজক-পরিচালকেরা তার শিকি ভাগও পূর্ণতা পায়নি। ব্যবসায়িক সাফল্যে ছক্কা হাঁকায়নি ছবিটি। অথচ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় পুরস্কারের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ পেতেই উচ্ছ্বসিত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। গলায় ঝরে পড়ছে অদ্ভুত পরিতৃপ্তি। কথা হচ্ছে ‘অভিযাত্রিক’ ছবির। জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে এ বছর সেরা বাংলা ছবির মুকুট ওই ছবিরই। শুধু যে সেরা বাংলা ছবির শিরোপা পেয়েছে তা তো নয়, একই সঙ্গে সেরা চিত্রগ্রাহকও জিতে নিয়ে ছবিটির সিনেমাটোগ্রাফার সুপ্রতিম ভোল।
এই মুহূর্তে কলকাতার বাইরে রয়েছেন পরিচালক। টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই বললেন, “কেমন লাগছে ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, ইংরেজিতে একটা কথা হয় ‘ ক্লাউড নাইন’। আপাতত সেখানেই রয়েছি।” ছবির অন্যতম প্রযোজক, পরিচালক মধুর ভান্ডারকর। পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁর সঙ্গেও একপ্রস্থ কথা হয়েছে শুভ্রজিতের। দেশে ফিরলেন আবারও ছবিটি মুক্তির কথা যে ভাবছে টিম, সে কথাও জানালেন পরিচালক। একই সঙ্গে যোগ করলেন, “ভেবেছিলাম আরও বেশ কিছু বিভাগে পুরস্কার পাব। বিদেশে ইতিমধ্যেই ২৬টি পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি। কিন্তু দেশের এই সর্বোচ্চ সম্মান তো সবার থেকেই বেশি”। দেশ-বিদেশে সমালোচকদের চুলচেরা বিশ্লেষণে সসম্মানে উত্তরণ অথচ বঙ্গে ছবিটি মুক্তি পেতে সিনেমা হল ফাঁকা… এ সবেরই কি জবাব মিলল? পরিচালক একটু হাসলেন। এরপর খানিক নীরবতা। তারপর বললেন, “কী বলব, যতদিন দর্শকের এই সব সিনেমার প্রতি ঝোঁক না বাড়ছে ততদিন সিনেমা হল ফাঁকাই থাকবে।” আপাতত বলিউড ও টলিউড… দুই প্রজেক্টই হাতে রয়েছে তাঁর। চলছে কথাবার্তাও। কলকাতায় ফিরে এই সম্মানে যে হতে চলেছে সেলিব্রেশন সে কথাও জানাতে ভুললেন না তিনি।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘অপরাজিত’ উপন্যাসের শেষাংশ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। সত্যজিৎ রায় যেখানে অপু ট্রিলজি শেষ করেছিলেন, এই ছবির চিত্রনাট্য শুরু সেখান থেকেই। ছবির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অর্জুন চক্রবর্তী। অপর্ণার চরিত্রে দেখা মিলেছিল দিতিপ্রিয়া রায়ের। ফিল্ম ক্রিটিকদের বেশ মনে ধরেছিল ছবিটি। সাদা-কালোয় শুট, কাশবন আর অপু-কাজলের সম্পর্কের সমীকরণ পৌঁছে দিয়েছিল কোন এক নিশ্চিন্দিপুরে দালানে। আবারও ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। তবে প্রশ্ন একটাই। রি-রিলিজ হলেও, জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ছবিটি দেখতে কি দর্শক ভিড় বাড়াবেন প্রেক্ষাগৃহে? উত্তর দেবে সময়।