Sabyasachi Chowdhury: ‘মন থেকে প্রার্থনা করুন, ‘ফোন’ থেকে নয়’, ঋত্বিকের মন্তব্যে মুখ খুললেন সব্যসাচী
Viral Post: ঋত্বিক নিজের মন্তব্যের পক্ষ্যে জানান, ঈশ্বর কি আদৌ ফেসবুক করেন! ঋত্বিক চক্রবর্তীর সেই পোস্ট ও ভক্তদের মন্তব্যের উত্তরেরও এবার সপাট জবাব দিলেন সব্য়সাচী।

গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা তুঙ্গে, ঐন্দ্রিলা শর্মা কেমন আছেন? এটা জানার পাশাপাশি নানাবিধ প্রসঙ্গে আলোচনা বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে দেখা যায় এক একটি পোস্ট। সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলা শর্মার লড়াই নিয়ে যেমন একের পর এক পোস্ট বর্তমান, ঠিক তেমনই আবার সেলেবমন্তব্য ঘিরে বিতর্কও দানা বাঁধে সেই নেটপাড়াতেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলাকে কেন্দ্র করে চর্চা যখন তুঙ্গে, তখন সকলেই নিজের মতো করে করছেন প্রার্থনা, উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুড়িমুরকির মতো পোস্ট ঠিক কতটা আদৌ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেতা হৃত্বিক চক্রবর্তী।
এই মর্মে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্ট করার পরই তোলপাড়া হয় নেটপাড়া। অধিকাংশেরই রোষের মুখে পড়েন তিনি। তবে তার উত্তর দিয়েও জানিয়েছিলেন ঋত্বিক ঐন্দ্রিলার কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেননি। প্রার্থনা করতেও মানা করেননি, তবে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমটি এটার জন্য ঠিক কতটা যথাযত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার উত্তরে অনেকেই সব্যসাচীর পোস্টের মিল পায়। পাল্টা কমেন্টে জানায়, সব্যসাচী নিজেই এই অনুরোধ করেছিলেন। ঋত্বিক নিজের মন্তব্যের সপক্ষ্যে জানান, ঈশ্বর কি আদৌ ফেসবুক করেন! ঋত্বিক চক্রবর্তীর সেই পোস্ট ও ভক্তদের মন্তব্যের উত্তরেরও এবার সপাট জবাব দিলেন সব্য়সাচী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ঈশ্বর ফেসবুক করেন না আমি জানি, তাই লিখেছিলাম মন থেকে প্রার্থনা করুন, ‘ফোন’ থেকে করুন লিখিনি। চিকিৎসাশাস্ত্রে যে বিজ্ঞানই শেষ কথা, আমি সে কথাও জানি। তবে পর পর তিনজন নিউরোসার্জন যদি বলেন ‘ঈশ্বরকে ডাকুন’, তাহলে আর না ডেকে উপায় কি? ওনাদের তুলনায় আমি নিতান্তই অশিক্ষিত। তবে কেবল আমি একা নই, মুর্শিদাবাদের প্রতিটা মন্দির, প্রতিটা মসজিদে মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করেছে। বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রসাদ এবং অজস্র আশীর্বাদী হাসপাতালে এসেছে নিয়মিত। তোমাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি ছোট করতে পারবো না। অনেকে অবশ্য হেসেছে বা অপমান করেছে, তাতেও আমি বিন্দুমাত্র কিছু মনে করিনি। এই ক্ষুদ্র জীবনে বহুবার কাদায় পড়েছি তো, তাই গায়ের চামড়া বেশ মোটা হয়ে গেছে।





