Anubrata Mondol: অনুব্রত-কাণ্ডে ফের কবিতা রুদ্রনীলের; কটাক্ষে বললেন, ‘দিদির কাছে রাখি পরে যেতে পারলেন না’
Rudranil Ghosh: বনগাঁয় রাখিবন্ধন উৎসব পালন করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য কালচালার সেলের প্রধান ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
আজ বৃহস্পতিবার (১১.০৮.২০২২) গরু-পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বীরভূমের বাসভবন থেকে নিয়ে যায় সিবিআই। এর আগে মোট ৯ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করে তাঁকে ডেকে পাঠালেও অধিকাংশ বার অসুস্থতার দোহাই দিয়ে ডাক এড়িয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বনগাঁয় রাখিবন্ধন উৎসব পালন করতে গিয়ে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য কালচালার সেলের প্রধান ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ‘অনুব্রত, অনুব্রত’ কবিতা আবৃত্তি করেছেন তিনি।
রুদ্রনীল ঘোষ বলেছেন, “রাখি বন্ধনে আমরা সমবেত হয়েছিলাম। বাংলায় রাখিকে বড় করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। বীরভূমের মাটতে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তারপর জুটে গিয়েছেন এই ভদ্রলোক (পড়ুন অনুব্রত মণ্ডল)। একটাই কথা বলব, অনুব্রত রাখি পরে যেতে পারলেন না দিদির কাছ থেকে। এটা বড্ড খারাপ লাগল। জানি না উনি আর পার্থদা রাখি নিয়ে কী আলোচনা করবেন। চিন্তা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের জেলে তো এত জায়গা নেই। বালতি কিংবা গামছা চুরি করে যাঁরা জেলে রয়েছে, তাঁরা এবার কোথায় যাবেন। আমার অনুরোধ, আমাদের পার্শ্ববর্তী যে রাজ্যগুলো রয়েছে, সেখানে আবেদন করা হোক… যাতে সেখানে ওদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। একটাই কথা বলব, রাখির মতো পবিত্র দিনে এমন একটা খবর বাংলাকে গৌরবান্বিত করে না। ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ রাখি উৎসবকে কেন্দ্র করে যেভাবে ভ্রাতিত্বের বন্ধন স্থাপন করেছিলেন, যে ব্যাপ্তিতে বাড়িয়েছিলেন, তার ছায়া এই বাংলা নয়।”
এছাড়াও কটাক্ষ করে রুদ্রনীল বলেছেন, “শাসক দলের যাদের লজ্জা আছে, তাদের বলি, ডোরাকাটা পোশাক, হাওয়াই চটি আছে আলিপুর জেলে, প্রেসিডেন্সি জেলে আছে। আংটি-টাংটি খুলে, সাবান-টাবান মেখে চলে যান।”
অনেকদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে প্যারোডি তৈরি করেছিলেন রুদ্রনীল। জয় গোস্বামীর বিখ্যাত ‘মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়’-এর বেণিমাধবকে অনুমাধবে রূপান্তরিত করেছিলেন রুদ্রনীল। ভাইরাল হয়েছিল প্যারোডিটি। ফের সেই প্যারোডিই বললেন বনগাঁর রাখি উৎসবে এসে।