Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vivek Agnihotri on Filmfare: ‘সিনেমা-বিরোধী’ তকমা বলিউডের প্রাচীনতম অ্যাওয়ার্ড শো-কে, ফিল্মফেয়ার-এ মনোনীত হয়ে টুইটারে গর্জন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালকের

ঘটনাচক্রে গত মাসে ফিল্মফেয়ারের অ্যানাউন্সিং ইভেন্টে হাজির হয়ে সলমান খানও একহাত নিয়েছিলেন এই অ্যাওয়ার্ড শো-এ। তিনি বলেছিলেন কীভাবে ‘ম্যাঁয়নে পেয়ার কিয়া’ রিলিজ়ের পর তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ফিল্মফেয়ারের তরফে যে, তিনি অ্য়াওয়ার্ড জিতবেন।

Vivek Agnihotri on Filmfare: 'সিনেমা-বিরোধী' তকমা বলিউডের প্রাচীনতম অ্যাওয়ার্ড শো-কে, ফিল্মফেয়ার-এ মনোনীত হয়ে টুইটারে গর্জন 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর পরিচালকের
'সিনেমা-বিরোধী' তকমা বলিউডের প্রাচীনতম অ্যাওয়ার্ড শো-কে, ফিল্মফেয়ার-এ মনোনীত হয়ে টুইটারে গর্জন 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর পরিচালকের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2023 | 3:15 PM

একপ্রকার অপ্রত্যাশিতভাবেই ২০২২-এ তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল তাঁর পরিচালিত ছবি। যদিও সমালোচকদের বক্তব্য় ছিল, খোদ দেশের সরকার ‘প্রোমোট’ করেছে তাঁর ছবি। গত বছরের সবথেকে হিট বলিউড (Bollywood) ছবি ‘ব্রক্ষ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান শিবা’র পরই ব্লকবাস্টারের তালিকায় নাম ছিল তাঁর পরিচালিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর। সেই তিনি, অর্থাৎ বিবেক অগ্নিহোত্রীই (Vivek Agnihotri) এবার বলিউডের জনপ্রিয় অ্যাওয়ার্ড শো-কে কার্যত একহাত নিলেন। বক্সঅফিস সফল বিবেক টুইটারে (Twitter) ‘ভদ্রভাবে’ ক্ষোভ উগরে দিলেন ছবির বক্সঅফিস রিপোর্টকে নিয়ে আস্ফালন-করা বলিউডের অ্যাওয়ার্ড শো-কে। টুইট করে বললেন, “আমি খুবই ভদ্রভাবে এই অনৈতিক এবং সিনেমা-বিরোধী অনুষ্ঠানের অংশ হতে চাই না।” প্রসঙ্গত, যে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসকে কেন্দ্র করে বিবেকের এই বক্তব্য, গত মাসে সেই শো-এরই ইভেন্টের মুখ হিসেবে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে খোদ সলমন খান সেটির তুলোধনা করেছিলেন।

টুইটারে সরব বিবেক অগ্নিহোত্রী এবার টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন 68th Filmfare Awards-এ তাঁর ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ৭টি বিভাগে মনোনীত হয়েছে। তাহলে কেন মনোনীত পরিচালক ‘এই অনৈতিক এবং সিনেমা-বিরোধী অনুষ্ঠানের অংশ হতে’ চাইছেন না? বিবেক টুইটে লিখেছেন, “ফিল্মফেয়ারের মতে তারকা ছাড়া কারও মুখের কোনও দাম নেই। কারও কোনওই মূল্য নেই। সেই কারণেই ফিল্মফেয়ারের মতো অনৈতিক অ্যাওয়ার্ডে সঞ্জয় লীলা ভনসালী অথবা সূরজ বরজাতিয়ার মতো মাস্টার পরিচালকদের অস্তিত্ব থাকে না। সঞ্জয় লীলা ভনসালীকে দেখতে লাগে আলিয়া ভাটের মতো, সূরজকে লাগে মিস্টার বচ্চনের মতো আর অ্যানিস বাজ়মিকে দেখতে মনে হয় কার্তিক আরিয়ানের মতো। এমনটাটা নয় যে, একজন পরিচালক ফিল্মফেয়ার থেকে সম্মান অর্জন করেন, কিন্তু এই ধরনের অবমাননাকর ব্যবস্থা শেষ হওয়া উচিত।” এই কারণেই বিবেকের অকপট ঘোষণা: তাই, বলিউডের একটি দুর্নীতিবাজ, অনৈতিক এবং ছদ্মবেশী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ এবং ভিন্নমতের কারণে, আমি এই ধরনের পুরস্কার গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ব্লকবাস্টার হিট ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস ‘ বক্সঅফিসে সাড়া ফেলেছিল। আগামী ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস’-এর মনোনয়ন তালিকায় এক নয় সাতটি বিভাগে মনোনিত হয়েছে এই ছবি এমনটাই পরিচালকের দাবী। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে অস্বীকার করলেন বিবেক। তাঁর কথায়, “মিডিয়া মারফত শুনলাম ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ৭ টি বিভাগে মনোনীত হয়েছে। কিন্তু আমি খুবই ভদ্রভাবে এই অনৈতিক এবং সিনেমা-বিরোধী অনুষ্ঠানের অংশ হতে চাই না।” টুইটারে তিনি আরও লেখেন, “ফিল্মফেয়ারের মতে তারকা ছাড়া কারও মুখের কোনও দাম নেই। কারও কোনও মূল্য নেই। এই কারণেই, ফিল্মফেয়ারের ছদ্মবেশী এবং অনৈতিক জগতে, সঞ্জয় ভনশালী বা সূরজ বরজাতিয়ার মতো মাস্টার পরিচালকদের কোনও মুখ নেই। সঞ্জয় ভনশালীকে আলিয়া ভট্টের মতো দেখতে লাগে, সূরজ বরজাতিয়াকে মিস্টার বচ্চন ও আনিস বাজমিকে কার্তিক আরিয়ানের মতো। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার থেকে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার মর্যাদা আসে এমন নয় তবে এই অপমানজনক ব্যবস্থার অবসান হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, “তাই-ই বলিউডের এই দুর্নীতিবাজ, অনৈতিক এবং ছদ্মবেশী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ এবং ভিন্নমতের কারণেই আমি এই ধরনের পুরস্কার গ্রহণ না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ঘটনাচক্রে গত মাসে ফিল্মফেয়ারের অ্যানাউন্সিং ইভেন্টে হাজির হয়ে সলমান খানও একহাত নিয়েছিলেন এই অ্যাওয়ার্ড শো-এ। তিনি বলেছিলেন কীভাবে ‘ম্যাঁয়নে পেয়ার কিয়া’ রিলিজ়ের পর তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ফিল্মফেয়ারের তরফে যে, তিনি অ্য়াওয়ার্ড জিতবেন। কিন্তু তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডাকার পরও তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। শুধু সলমনই নন, আমির খানও বরাবর এই ধরনের অ্যাওয়ার্ড সো নিয়ে সোচ্চার। ১৯৯২-এ ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’ রিলিজ় করার পর যখন গোটা ইন্ডাস্ট্রি একবাক্যে মনে করেছিল তিনিই সেরা অভিনেতার অ্যাওয়ার্ড জিতবেন, তখন হতাশ হতে হয়েছিল আমিরকে। অ্যাওয়ার্ড গিয়েছিল ‘বেটা’র জন্য অনিল কাপুরের কাছে। এর তিন বছর পর, ১৯৯৫-এ অর্থাৎ যে বছর ‘রঙ্গিলা’ ও ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ রিলিজ় করেছিল, সেবারও অ্যাওয়ার্ড পাননি আমির খান। এরপর থেকেই অ্যাওয়ার্ড শো বয়কট করেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’।

তবে শুধু অ্যাওয়ার্ড শো-কে বয়কট করাই নয়, এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। ক্ষোভ উগরে আরও লেখেন, “আনন্দের বিষয় যে আমি একা নই। ধীরে-ধীরে একটা সমান্তরাল হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে।’ এর সঙ্গে তিনি কবি দুষ্মন্ত কুমারের বিখ্যাত কবিতার একটি লাইনও জুড়ে দেন: ‘হম দেখেঙ্গে।’