Period Causes Anemia: পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণই এই সব মহিলাদের অ্যানিমিয়ার কারণ, উপসর্গ দেখলে খাদ্যাভ্যাসে যে সব পরিবর্তন আনবেন
Can Your Period Cause Anemia: উন্নয়নশীল দেশে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। আর যে সব মহিলারা কর্মরতা, তাঁদের মধ্যে অ্যানিমিয়াতে ভোগার হারও বেশি
শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত না থাকলে অর্থাৎ শরীরে যদি লোহিত রক্ত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকে তখন রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা হয়। রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কম হলেও সেখান থেকে রক্তাল্পতার সমস্যা আসতে পারে। হিমোগ্লোবিন হল লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত একপ্রকার প্রোটিন যার মধ্যে আয়রন এবং ট্রান্সপোর্টস অক্সিজেন বর্তমান। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এই ব্যাধির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা অপুষ্টির কারণে এই রোগে আক্রান্ত হন। আবার দীর্ঘদিন ধরে কোনও রোগ-জ্বালায় ভুগলে সেখান থেকেও হতে পারে এই রক্তাল্পতার সমস্যা। দেহের সমস্ত কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব থাকে হিমোগ্লোবিনের হাতে। শরীরে আয়রনের অভাব হলে তখনও হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ব্যাহত হয়।
পুরুষদের তুলনায় মহিলারা যে অনেক বেশি পরিমাণে রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন তা এর আগেও প্রমাণিত হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। আর যে সব মহিলারা কর্মরতা, তাঁদের মধ্যে অ্যানিমিয়াতে ভোগার হারও বেশি। পুরুষদের মধ্যে ৪৫.১ শতাংশ হল অ্যানিমিয়াতে আক্রান্ত। যেখানে মহিলাদের মধ্যে সংখ্যাটা হল ৫৪.৬ শতাংশ। গর্ভাবস্থাতেও অনেক মহিলা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন। এছাড়াও মহিলাদের অ্যানিমিয়ার পিছনে ভূমিকা রয়েছে মাসিকেরও। অনেকের ক্ষেত্রেই হেভি ব্লিডিং এর সমস্যা থাকে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে মেনোরেজিয়া বলা হয়। এক্ষেত্রে শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে ঘাটতি থেকে যায়। যেখান থেকেই হয় এই সমস্যা।
শরীরে রক্তের অভাবে যে সব লক্ষণ দেখা যায়-
ক্লান্তি দুর্বলতা শ্বাসকষ্ট চামড়া বিবর্ণ হয়ে যাওয়া মাথা ঘোরা মাথা ব্যথা
প্রতি পাঁত জনের মধ্যে একজন মহিলাকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই সমস্যা হয়। এর পিছনে মূলত দায়ী থাকে প্রোজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন। পিরিয়ডসের ক্ষেত্রে এই দুই হরমোনই প্রধান ভূমিকা পালন করে। অনেকের ক্ষেত্রে পিরিয়ড বা মাসিকের সময় রক্তপাতের পরিমাণ একদম কম থাকে। এছাড়াও আরও একাধিক কারণ রয়েছে, যে কারণে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন
জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের সমস্যা থাকলে এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলে ডিম্বস্ফোটনে সমস্যা (ওভুলেশন) জরায়ুর টিস্যুর ক্ষতি নিয়মিত ভাবে অ্যাসপিরিন ওষুধ খেলে রক্তের কোনও সমস্যা থাকলে
কখন বুঝবেন যে আপনার হেভি ব্লিডিং হচ্ছে
প্রতি ঘন্টায় বা দু ‘ঘন্টা অন্তর প্যাড বদল করতে হলে একসঙ্গে দুটি করে প্যাড পরতে হলে রাতে প্যাড বা ট্যাম্পুন চেঞ্জ করতে হলে পিরিয়ড ৭ দিন বা তার বেশি স্থায়ী হলে ক্লট বেশি হলে পিরিয়ডের সময় ক্লান্ত লাগা
আর তাই পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে ডায়েটেও সেই মত পরিবর্তন আনতে হবে। রোজকার তালিকায় বেশি করে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, মাংস, পালং শাক, লেবু, কুইনোয়া, কুমড়োর বীজ এসব রাখুন। এছাড়াও যে সব খাবার আয়রন শোষণে সাহায্য করে সে সবও অবশ্যই রাখুন। নিয়ম করে পেয়ারা, কিউই, ব্রোকলি, অঙ্কুরিত মুগ, ছোলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কমলা লেবু, বিভিন্ন ডাল এসব খান। এছাড়াও চা, কফি খুব বেশি পরিমাণে খাবেন না। ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন তালিকায়।