প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে ব্যায়াম করা যাবে না, এটা কি সত্যি?

আপনার জন্য কোনটা ঠিক, সেটা সবথেকে ভাল বলতে পারবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে ব্যায়াম করা যাবে না, এটা কি সত্যি?
গর্ভপাতের নয়া নিয়ম
Follow Us:
| Updated on: Jan 25, 2021 | 12:09 PM

মা হওয়া (pregnancy) যে কোনও মেয়ের জীবনেই এক অন্য রকম অনুভূতি। সন্তান গর্ভে ধারণ করার পর থেকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় হবু মায়েদের। কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ে মিথ রয়েছে এখনও। অনেক কিছু করা যাবে না, এমন মিথও রয়েছে। আপনার জন্য কোনটা ঠিক, সেটা সবথেকে ভাল বলতে পারবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। কিন্তু হবু মায়েরা কয়েকটা সাধারণ কাজ করতেই পারেন।

১) প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে ব্যালান্স ডায়েট তৈরি করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার ডায়েট তৈরি করে নিন। তবে সাধারণ ভাবে এই সময়টা মাল্টি ভিটামিন এবং মিনারেল প্রয়োজন হয়। ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন রাখতে হবে ডায়েটে। তবে কতটা পরিমাণে খাবেন তা বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নিন। কারণ অত্যধিক মাল্টি ভিটামিন আবার গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতিও করতে পারে।

আরও পড়ুন, গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখলে সন্তানের ক্ষতি?

২) হবু মায়েদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন। সাত থেকে নয় ঘণ্টা। শুধুমাত্র রাতে ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখবেন না। দিনের কাজের মধ্যে যখনই ক্লান্তি বোধ হবে, ছোট ছোট ন্যাপ নিয়ে নিন।

৩) সন্তানসম্ভবা হলে কোনও রকম ব্যায়াম করা যাবে না, এই মিথ এখন আর নেই। বরং শারীরিক ব্যায়াম মা এবং সন্তান দুজনের জন্যই প্রয়োজন। পেশীর ব্যথা, অত্যধিক ওজনের সমস্যা, মুড পরিবর্তনের মতো অনেক সমস্যার সমাধান রয়েছে শারীরিক ব্যায়ামের মধ্যেই। তবে প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে কোন ধরনের ব্যায়াম করতে পারবেন, তা একবার চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন।

আরও পড়ুন, হবু মায়েদের বহু শারীরিক সমস্যার সমাধান করবে আদা!

৪) সামুদ্রিক মাছ খাওয়া নিয়ে সন্তানসম্ভবাদের সমস্যা থাকতে পারে। যদি আপনার এলার্জি না থাকে, তাহলে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার কোনও অসুবিধে নেই। তবে ভাল করে ধুয়ে, সঠিক ভাবে রান্না করা খাবার খান।

৫) সন্তান গর্ভে থাকলে যৌন সম্পর্কে থাকা যাবে কি না, এ নিয়ে নানা মত রয়েছে। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মনে করেন, প্রেগন্যান্সিতে কোনও ঝুঁকি বা সমস্যা না থাকলে, এ সময়ে যৌনতায় সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে আপনার শারীরিক পরিস্থিতি উপর নির্ভর করে, আপনার জন্য কোনটা ঠিক হবে, তা একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

আরও পড়ুন, বেশি বয়সে মাতৃত্ব কতটা ঝুঁকির?