Arthritis: কম বয়সেই বাড়ছে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা, কোন খাবার খেলে কমবে ব্যথা-যন্ত্রণা? রইল টিপস

Superfood for Bone Health: অল্পবয়সীদের মধ্যে আর্থ্রাইটিসের কারণ মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকাই হাড়ের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। তার সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু একবার দেহে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে, তা সহজে পিছু ছাড়তে চায় না।

Arthritis: কম বয়সেই বাড়ছে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা, কোন খাবার খেলে কমবে ব্যথা-যন্ত্রণা? রইল টিপস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2023 | 2:23 PM

প্রতি ৩ জন ব্যক্তির মধ্যে ১ জন আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন। গাঁটের ব্যথা, জয়েন্ট ফুলে যাওয়ার মতো একাধিক হাড়ের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আগে মানুষের ধারণা ছিল, বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় হয় এবং সেখান থেকে এই ধরনের সমস্যা জন্ম নেয়। কিন্তু এখন কম বয়সেও মানুষ আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। অল্পবয়সীদের মধ্যে আর্থ্রাইটিসের কারণ মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকাই হাড়ের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। তার সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু একবার দেহে আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দেখা দিলে, তা সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। ব্যথা কমানোর জন্য মুঠো-মুঠো পেইনকিলার খেয়েও খুব বেশি লাভ হয় না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জয়েন্টের ফোলাভাব, গাঁটের ব্যথা, অস্থিসন্ধির নমনীয় দূর করার জন্য রোজের জীবনধারার উপর নজর দিতে হবে। শরীরচর্চার পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় জোর দিতে হবে। এতে জয়েন্টের প্রদাহ কমবে এবং হাড় শক্তিশালী হবে। এমনকী আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। কোন-কোন খাবার খেলে আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমতে পারে, রইল টিপস।

পালং শাক: পালং শাক হল সুপারফুড। এই শাকের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ব্যথা-যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দেয়। কম বয়সিদের মধ্যে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে পালং শাক। শাক চচ্চড়ি ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে আপনি পালং শাক খেতে পারেন। তাই এই সবজিকে রাখুন ডায়েট।

ফ্যাটি মাছ: সামুদ্রিক মাছের মধ্যে তেল পাওয়া যায়। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে এবং গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

বাদাম: সকালবেলা এক মুঠো বাদাম খান। আখরোট, পেস্তা, আমন্ড সব রাখুন একসঙ্গে। এসব বাদামের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ও আলফা-লিনোলেনিক রয়েছে। এগুলো ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া আখরোটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওআর্থারাইটিসের ব্যথা কমায়।

রসুন: রসুনের মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। রসুন দেহে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর প্রদাহ-বিরোধী উপাদান গাঁটের ব্যথা-যন্ত্রণা কমায়। এছাড়া অস্টিওআর্থারাইটিসের উপসর্গকে দূর করে।

লেবু জাতীয় ফল: দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন সি জরুরি। মুসাম্বি লেবু, পাতিলেবু, বাতাবিলেবু, কমলালেবু ইত্যাদির মধ্যে উচ্চ পরিমাণে এই ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি আর্থারাইটিসের প্রদাহ এবং জয়েন্টের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।